কানাডায় খালিস্তান (khalistan) পন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড় (India canada row)। এই হত্যার নেপথ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ট’ এক উচ্চপদস্থ কর্তা। সম্প্রতি কানাডার ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী ডেভিড মরিসন মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন। এমনকী কানাডার পার্লামেন্টের সাংসদ সদস্যদের প্যানেলেও তিনি এই কথাই বলেছেন।
কালীপুজোর দিন যাত্রী দুর্ভোগ কাটাতে বিশেষ মেট্রোর ঘোষণা কলকাতা মেট্রোর
ওই সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টতই ‘মোদী-ঘনিষ্ট’ ওই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “ভারতের ‘মোদী-ঘনিষ্ট’ ওই ব্যক্তিই কানাডায় নিজ্জর হত্যার চক্রান্ত করেছেন।” তবে তাঁর এই ইঙ্গিত যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দিকে তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি কূটনৈতিকমহলের। কারণ অতীতেও বিদেশের মাটিতেও ভারত বিরোধী কার্যকলাপ দমন করার নজির রয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার। সেই বিষয় যথেষ্ট ওয়াকিবহাল কানাডা প্রশাসনও।
অন্যদিকে, কানাডার ন্যাশনাল সিকিউরিটি ও ইনটেলিজেন্স অ্যাডভাইজার ন্যাথালি ড্রোইনের গলায় শোনা গিয়েছে উল্টো সুর। তিনি বলেন, আমরা কোনও গোপন তথ্য ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে তুলে দিইনি। ‘মোদী-ঘনিষ্ট’ ওই ব্যক্তির বিষয়ে কোনওরকম উল্লেখ করা হয়নি কানাডার পক্ষ থেকে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে কানাডার ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগারকে ট্রুডো (JustinTrudeau) সরকারের ‘কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটেজি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজ একাধিক ট্রেন দেরিতে ছাড়বে, বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখপ্রকাশ রেলের
এদিকে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (JustinTrudeau)। খালিস্তান ইস্যুতে ভারতকে ধারাবাহিক ভাবে তোপ দাগতে থাকায়, লিবারেল পার্টির একাংশই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর উপরে অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে। তিনি আসন্ন নির্বাচনে খালিস্তানপন্থী (khalistan) শিখদের ভোট পেতেই ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়েছেন বলেই মনে করছে তাঁর নিজের দলের নেতারাই।
যারফলে দলের ২৪ জন সাংসদ ইতিমধ্যেই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবী পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। গত জুলাইতে ভোট বিপর্যয়ের আন্দাজ করেই লিবারেল পার্টির জোটসঙ্গ ত্যাগ করেছে খালিস্তানপন্থী ভারত বিরোধী নেতা জগমিত সিং-য়ের দল এনডিপি বা নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তারপরই রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হয়েছে ট্রুডোর প্রশাসনকে। সরকার টেকাতেই সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে নিজ্জার ইস্যুকে টেনে শিখ ভোটারদের কাছে পেতে চেয়েছিলেন ট্রুডো।
নিলামের আগেই ফাঁস গুজরাটের রিটেনশন লিস্ট! রয়েছে পাঁচ চমকপ্রদ নামও
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। কিন্তু তারফলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক বৈরিতা বাড়িয়ে আখেড়ে কিছুই লাভ হয়নি অটোয়ার। এমনটাই মনে করছে সেদেশের রাজনৈতিক মহল।