ব্রিটেনের অবস্থান দুর্বল, নিরাপত্তা পরিষদে ঢুকবে ভারত, বাড়ছে বিশ্বব্যাপী সমর্থন

ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। অতীতের মতো আন্তর্জাতিক প্রভাবও হারিয়েছে ব্রিটেন (UN Security Council)। সেই জায়গায় ধীরে ধীরে বিশ্বে প্রভাব বাড়াচ্ছে ভারত। তাই পুরোনও নিরাপত্তা…

Indian External Affairs Minister S. Jaishankar standing with UK Prime Minister Rishi Sunak, both in formal attire, engaging in conversation against an official setting. Jaishankar is gesturing with his hand, while Sunak listens attentively, highlighting the diplomatic interaction between the two leaders

ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। অতীতের মতো আন্তর্জাতিক প্রভাবও হারিয়েছে ব্রিটেন (UN Security Council)। সেই জায়গায় ধীরে ধীরে বিশ্বে প্রভাব বাড়াচ্ছে ভারত। তাই পুরোনও নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার অতি আবশ্যক। এবং ব্রিটেনের উচিত নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ভারতকে সেই জায়গা ছেড়ে দেওয়া। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন ভারতের বিশিষ্ট কূটনীতিক কিশোর মেহবুবানি (Kishor Mehbubani)। 

কানাডায় ইউক্রেন নিয়ে শান্তি বৈঠকে রাশিয়া নেই, যোগ দেবে না ভারত

   

অতীতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দ্বায়িত্ব সামলেছেন ভারতের এই বিশিষ্ট কূটনীতিক। তাঁর কথায়, ব্রিটেনের উচিত নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে ভারতের জন্য জায়গা করে দেওয়া। তাতে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে এবং গ্লোবাল সাউথের আওতাভুক্ত দেশগুলির স্বার্থ আরও সুরক্ষিত হবে। কিশোর মেহবুবানির এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে আন্তর্জাতিক মহলে।

যদিও বিগত কয়েক বছরে বিশেষত করোনা পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিকস্তরে নিজের প্রভাব ও প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই খুঁইয়েছে ব্রিটেন। আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ক্রমাগত চলমান অস্থিরতা, দুর্বল আর্থিক নীতি ও অনুপ্রবেশ দেশটির সামগ্রিক আর্থ-রাজনৈতিক কাঠামোকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। পরিবর্তে বিশ্বের বহু দেশই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চেয়েছে ভারতকে।

রাজ্যের ৬০,০০০ বুথে সদস্য সংগ্রহ, বিজেপির বিধানসভা ২০২৬-এ নজর

গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনেও নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার ও ভারতের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সরব হয়েছিল বহু দেশই। সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স,রাশিয়ার মতো দেশগুলিও। তবে চিনের ‘অনীহা’র কারণেই আটকে রয়েছে বিষয়টি। তবে সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার ও সম্প্রসারণ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে একটি ভোটাভুটি হয়। তাতে ১৯৬ টি দেশের মধ্যে ১২০ দেশেই ভারতের পক্ষে সওয়াল করে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারকে সমর্থন করেছে। তাতে ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে অন্তর্ভুক্তিকরনের চেষ্টা আরও জোরদার হল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ নেতা লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বলেন, “নিঃসন্দেহে ভারতের যোগদান নিরাপত্তা পরিষদ ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের কার্যকলাপকে সমৃদ্ধ করবে। নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার ইতিমধ্যেই প্রয়োজনব। ভারত ২০৬০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে। তবে ব্রিটেনও একটি বিশ্বের শক্তিধর দেশ, দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বিভিন্নক্ষেত্রে নিজের পারদর্শিতা দেখিয়ে বিশেষ অবদান রেখেছে।”

Kalipuja: দুর্গাপুজোর মতোই কালিপুজোয় সরকারি অনুদানের দাবি কমিটিগুলির

গত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনে আমেরিকার বুকে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “ভারতকে ছাড়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ চলতে পারেনা। ভারতকে বঞ্চিত রাখলে রাষ্ট্রসঙ্ঘই আগামীদিনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে, তখন হা হুতাশ করা ছাড়া কিছুই থাকবে না রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে।”