এবারও পূর্ণমন্ত্রী পেল না বাংলা, বিজেপিকে ‘বাঙালি বিদ্বেষী’ বলে তোপ দেবাংশুর

২০১৪, ২০১৯ এর পুনরাবৃত্তি ঘটল ২০২৪ এও। এবারও বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করল না বিজেপি (BJP)। এদিন রাজ্যের দুই সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর…

২০১৪, ২০১৯ এর পুনরাবৃত্তি ঘটল ২০২৪ এও। এবারও বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করল না বিজেপি (BJP)। এদিন রাজ্যের দুই সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মন্ত্রিসভার শপথ শেষ হতেই বাংলা পূর্ণমন্ত্রী না পাওয়ায় বিজেপির উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানান তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।

এক্স হ্যান্ডেলে দেবাংশু লেখেন, বাংলা থেকে ২০১৪-তে ২, ২০১৯-এ ১৮ ও ২০২৪ অর্থাৎ এবারে ১২ জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু একবারও বাংলা পূর্ণ মন্ত্রী পায়নি। প্রতিবার বাংলাকে দুটি করে গরুর গাড়ির হেডলাইট দিয়েছে বিজেপি। এই অসম্মান কেন?

   

বিজেপিকে ‘বাঙালি বিদ্বেষী’ বলে আক্রমণ করে দেবাংশু লেখেন, এটাই প্রমাণ করে বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষী মানসিকতা! ঠিক এই কারণেই এই বাংলা বিরোধী দলকে বাঙালি বিসর্জন দিয়েছে। আগামীতে বাংলা থেকে বিজেপির জন্য অপেক্ষা করছে আরও ভয়ঙ্কর প্রত্যাখ্যান।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাংলার দুই সাংসদ সুকান্ত-শান্তনু

প্রসঙ্গত এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন শান্তনু ঠাকুর। সুকান্ত এই প্রথম মন্ত্রী হলেন।

 

২০১৪ সালে মোদী প্রথম বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। সেবার বাংলা থেকে দুজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দার্জিলিংয়ের সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভায় স্থান পান। ২০১৯ সালে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।

২০২১ সালের জুলাই মাসে অবশ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় বাবুল ও দেবশ্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা এবং বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। তবে প্রত্যেকেই প্রতিমন্ত্রী হন। এখনও পর্যন্ত মোদীর কোনও মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

টাকার অভাবে নির্বাচনে না দাঁড়িয়েও মন্ত্রী নির্মলা!

এদিন সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। উত্তর প্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

জহরলাল নেহরু ছাড়া ভারতের আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর টানা তিন বার শপথ নেওয়ার কৃতিত্ব নেই। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আট হাজারেরও বেশি অতিথি। এতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের ফাঁকা জায়গায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত। তবে এবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হল ‘কর্তব্য পথ’-এ।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই রেকর্ড গড়লেন নরেন্দ্র মোদী

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৭ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মইজ্জু, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগয়াল ওয়াংচুক, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনথ এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশ সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ যোগ দেন শপথ অনুষ্ঠানে।