ভারতের মাটিতে ৭২ ঘন্টার ওপর কেটে গিয়েছে। নয়াদিল্লির সেফ হাউজেই বোন রেহানাকে নিয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর পরবর্তী গন্থব্য নিয়েও ক্রমশই বাড়ছে জটিলতা। আমেরিকা ও ব্রিটেন ইতিমধ্যেই খারিজ করেছে তাঁর ‘আশ্রয়’-র আবেদন। এই আবহেই এবার হাসিনাকে ফের বাংলাদেশে ফেরাতে কোমর বেঁধে নামল সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবারই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ
বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে দাঁড়িয়ে এই শপথ নিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পাল্টা আন্দোলনের বার্তাও দিয়েছেন। এই টুঙ্গিপাড়াতেই শেখ হাসিনার জন্মস্থান। জোরদার আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে দেশে ফেরানোর কথা বলছেন বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা।
এদিন সকাল থেকেই টুঙ্গি পাড়ায় শেখ মুজিবরের সমাধির সামনে জড়ো হন আওয়ামী লীগ নেতারা। দলের সভাপতি মাহবুব আলি খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহবুদ্দিন আজম-সহ অনেকে। মাহবুবের নেতৃত্বে শপথবাক্য পাঠ করা হয়। মুজিবের সমাধির উপরে শূন্যে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত রেখে হাসিনার সঙ্গে অন্যায়ের প্রতিশোধের শপথ নিয়েছেন দলের সদস্যেরা।
সব ধর্মের সমান গুরুত্ব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার ডাক, জেল থেকে বেরিয়েই বার্তা খালেদার
তাঁদের দাবি, আন্দোলনের মাধ্যেই আমরা বঙ্গবন্ধু মুজিবের কন্যা হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনব। দলের সভাপতি বলেন, “আমরা যত দিন না আমাদের নেত্রীকে দেশে ফেরাতে পারছি, তত দিন আমরাও ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। হাসিনাকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবই।”
এদিকে, কিন্তু ভারতে আসার পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। এমন অবস্থায় তিনি কোথায় যাবেন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশই বাড়ছে। সঙ্গে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লিরও। তার কারণ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যার পেছনে ভারতের হাত! কে এই অদৃশ্য ‘সিক্রেট’ এজেন্ট
মঙ্গলবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলরের পক্ষ থেকেও দাবি তোলা হয়েছে, হাসিনাকে ফিরিয়ে দিক ভারত। বৃহস্পতিবার নোবেল জয়ী ড. মহম্মদ ইউনূসের নের্তৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। আর সেই সরকারের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নয়াদিল্লি। তবে আওয়ামী লীগ হাসিনাকে ফেরাতে আগামীদিনে কোন পথে হাঁটবে, সেইদিকে নজর থাকবে ভারতের।