TMC: মৌসমকে প্রার্থী করলে বিদ্রোহ হবে, মালদা থেকে এমনই বার্তা গেল কালীঘাটে

দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ মৌসম নূর। মালদা জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর‌ মৌসমকে প্রার্থী না করতে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাবেন কর্মীরা।…

দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ মৌসম নূর। মালদা জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর‌ মৌসমকে প্রার্থী না করতে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাবেন কর্মীরা। এর জন্য জোগাড় করা হবে গণস্বাক্ষর। মৌসম নূর আগেই অভিযোগ করেছিলেন তার অনুগামীদের ক্রমশ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই সেই অভিযোগগুলো ছিল। জানা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের একটি বড় অংশ মৌসমের বিপক্ষে চলে গেছে‌।

জেলার মৌসম বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, মৌসম নুরকে প্রার্থী করা হয়েছিল গত লোকসভায়। উত্তর মালদা থেকে তিনি বিজেপির খগেন মুর্মুর কাছে পরাজিত হন। কিন্তু তারপরেও দল মৌসমকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত করায়। তা সত্ত্বেও গোটা পাঁচ বছর ধরে মৌসম নূরকে দেখাই যায় না। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে দূরত্ব থাকার পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীদের সাথে সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। ব্লকের কর্মী সভাপতি এদের সাথে কোন সংযোগই নেই। মৌসম নুরকে উত্তরায় গোটা পাঁচ বছর ধরে কেউ দেখেনি।

   

অভিযোগ, তার বাসভবনে দেখা করতে গেলে কোন সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের নেতারাও তার সাথে দেখা করতে পারেননি। এর ফলে আব্দুর রহিম বক্সী জেলা সভাপতি হওয়ার আগে বা পরে নিচু পদস্থ কর্মীদের সাথে ও তার ওঠা বসা থেকে শুরু করে কথাবার্তা চলতে থাকে। তাকে সহজেই কোন দরকারে জনসাধারণ পাচ্ছে। গ্রাম থেকে উঠে এসে পুরসভা নির্বাচনে আব্দুল রহিম বক্সীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

শীর্ষ নেতৃত্বরা মৌসম নূরকে নির্বাচন করেন। আগে কংগ্রেস থেকে এসেছিল মৌসুম নূর তাতেই কি দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে খুব দেখা গিয়েছিল তাতেই কি এই অনাস্থা। তা বলা যাচ্ছেনা। মৌসমকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের সাথে ঘনিষ্ট হিসেবে দেখা যায় । এমনকি কংগ্রেস দলে থাকা তার মামার সাথে কংগ্রেসের কোন অনুষ্ঠানে দেখতে পাওয়া যায় তাকে কিন্তু তৃণমূলের দলীয় কোন অনুষ্ঠানে দেখা নেই মৌসমের।

তৃণমূল দলের এক কর্মী বলছেন, আমরা তাকে বয়কট করছি কারণ বিজেপির কাছে পরাজিত হয়ে যাওয়ার পরও রাজ্য নেতৃত্ব তাকে সম্মান দেওয়ার জন্য রাজ্যসভার সংসদ হিসেবে নির্বাচিত করে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরে এসে জনসাধারণের কোন সুবিধা ও মেলেনি। এমনকি অন্যান্য কর্মীদের সাথে কথা বলে ও সংযোগ স্থাপন করেননি তিনি বলে অভিযোগ। আমরা রহিম বক্সীর স্যারকে আমরা চাইছি। উনি এলে আমরা উপকৃত হব।