Purba Bardhaman: মৃত ব্যক্তি খেলেন জল ? বর্ধমানে হুলুস্থুল কাণ্ড

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাউড়িপাড়ার বাসিন্দা ছোটন সর্দারের। বাড়িতে আনার নড়েচড়ে উঠল হাত পা। খেলেন জলও। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে এলাকায়…

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাউড়িপাড়ার বাসিন্দা ছোটন সর্দারের। বাড়িতে আনার নড়েচড়ে উঠল হাত পা। খেলেন জলও। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিবারের লোকজনরা আবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবার মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।এরপরেই হাসপাতালে চিকিৎসার গাফলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।

সোমবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাউড়িপাড়ার বাসিন্দা ছোটন সর্দার (৩৪)। ভাতার ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।বাড়িতে আনার পরেই নিস্তেজ হয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন মৃত্যু হয়েছে যুবকের। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর চলছিল সৎকারের প্রস্তুতি।প্রথা মেনে মৃতের মুখে দেওয়া হচ্ছিল গঙ্গাজল। ঠিক সেসময় ‘মৃত’ যুবক জলপান করেন।সঙ্গে সঙ্গে আত্মীয় পরিজনরা মিলে ছোটন সর্দারকে ফের নিয়ে যান ভাতার হাসপাতালে।

আবার মৃত ঘোষণা করার পর তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে মৃতের আত্মীয়রা। অভিযোগ করেন জীবিত’ থাকতেও পরীক্ষা না করেই কেন মৃত বলে ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে ভাতার থানার পুলিশবাহিনী। তারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে।যদিও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

বাড়িতে দেহ আনার পর কখনও বসিয়ে দেওয়া হয়। কখনও মুখে জল দেওয়া হয়। আবার কেউ কেউ ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। যদিও ধীরে ধীরে শক্ত হতে শুরু করে দেহ। তখন সকলেই নিশ্চিত হন মারা গিয়েছেন ছোটন সর্দার।

জানা গিয়েছে, ভাতার বাজারে নাসিগ্রাম মোড়ে একটি চায়ের দোকান চালাতেন ছোটন।ভাল ব্যবহারের জন্য তাকে সকলেই ভালবাসতেন । জানা গিয়েছে সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ বাড়িতে হঠাৎ বুকের যন্ত্রণা শুরু হলে ছোটনকে সঙ্গে সঙ্গে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।