রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি সার, আজও নেই ‘ভগৎ সিংয়ের পাঞ্জাব’

পাঞ্জাবে একের পর এক নির্বাচন আসে যায়। প্রথা মেনে ইস্তেহার প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলগুলি। এখনও পর্যন্ত অনেকেই ‘ভগৎ সিংয়ের পাঞ্জাব’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু…

bhagat singh

পাঞ্জাবে একের পর এক নির্বাচন আসে যায়। প্রথা মেনে ইস্তেহার প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলগুলি। এখনও পর্যন্ত অনেকেই ‘ভগৎ সিংয়ের পাঞ্জাব’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এখনও কেউই তা পূরণ করতে পারেনি। সেই কথা তুলে ধরলেন পাঞ্জাবেরই এক বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: ভোট পর্বের শুরুতেই মণিপুরে নির্বাচনের দিন বদল

গুরবার্ক সিং, জালালাবাদ থেকে পাঞ্জাবের হুসেনওয়ালায় শহীদ ভগৎ সিংয়ের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। তিনি জানান, কীভাবে রাজনৈতিক দল গুলি শহীদ ভগতের দেখা স্বপ্নের পাঞ্জাব তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মাটি পাঞ্জাব তাঁদের স্বপ্নের মত করে গড়ে উঠতে পারেনি।

পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার হুসেনওয়ালা একটি তীর্থস্থানের থেকে কম নয়। এই স্থানেই সুতলেজ নদীর তীরে ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ভারতের স্বাধীনতা এবং দেশভাগের পর হুসেনওয়ালা পাকিস্তানের অংশ হিসেবে গণ্য হত। পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে হুসেনওয়ালা ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ এই অঞ্চলেই হয়েছিল।

জানা যায়, ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে সময়ের আগেই বেআইনিভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়। লুকিয়ে তাঁদের দেহ হুসেনওয়ালায় নিয়ে এসে সমাধিস্থ করা হয়। ১৯৭১ এর যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হুসেনওয়ালা।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার জনগণ ‘ভালো’ সরকারের আশায় ভোট দিতে তৈরি। হুসেনওয়ালার বাসিন্দাদের কথায়, এখানকার সবথেকে বড় সমস্যা মদ-মাদক। বহুমাত্রায় মাদক দ্রব্য বিক্রি হয় এলাকায়। ভগৎ সিং সর্বদা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। গত ৭৫ বছরের অনেক সরকার এসেছে। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি কিন্তু ভোট ফুরোলেই শেষ। তবে এবার পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকার চাইলে মাদকের আসক্তির বিষয়টিও থামাতে পারে।

হুসেনওয়ালার তরুণ সমাজ শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। আর্থিক পরিস্থিতি এবং অনুন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে এখানে অনেকেই দশম শ্রেণীর বেশী পড়াশোনা করতে পারেনি। উল্লেখ্য, আগামি ২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে এক দফায়ই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, আপ ক্ষমতায় এলে পাঞ্জাবের প্রতিটি সরকারি অফিসে রাজনৈতিক নেতা কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর ছবির বদলে ভগৎ সিং এবং ডঃ বি আর আম্বেদকরের ছবি লাগানো হবে।