Manipur: মণিপুরে জওয়ান-জঙ্গি গুলির লড়াই, কমান্ডো ব্যারাকে বিস্ফোরণ

বর্ষবরণের রাতে জওয়ান-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে তীব্র আতঙ্কিত মণিপুরের (Manipur) মোরে শহরবাসী। জীবন বাঁচাতে বিকেল থেকেই পাথর ও বড় দেয়ালের পিছনে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা। ভারত-মায়ানমার সীমান্তের…

Manipur: মণিপুরে জওয়ান-জঙ্গি গুলির লড়াই, কমান্ডো ব্যারাকে বিস্ফোরণ

বর্ষবরণের রাতে জওয়ান-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে তীব্র আতঙ্কিত মণিপুরের (Manipur) মোরে শহরবাসী। জীবন বাঁচাতে বিকেল থেকেই পাথর ও বড় দেয়ালের পিছনে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা। ভারত-মায়ানমার সীমান্তের মোরে শহরের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সীমান্তের অন্যপাশে মায়ানমারের টামু শহরেও আতঙ্কিত জনগণ।

মোরে ও টামুর মধ্যে ভারতীয়-বর্মীদের রোজকার যাতায়াত হয়। শনিবার থেকে দফায় দফায় জঙ্গিদের সাথে অসম রাইফেলস ও মণিপুর পুলিশের গুলির লড়াইয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত।

বর্ষবরণের রাতে অর্থাত রবিবারও চলেছে জঙ্গিদের সাথে জওয়ানদের বন্দুকযুদ্ধ। News Live জানাচ্ছে মোরে শহরের একটি কমান্ডো ব্যারাক ঘিরে ধরে জঙ্গিরা। তাদের গ্রেনেড হামলায় ব্যারাকের ভিতর বিস্ফোরণ হয়। হাটহাজারীরা কুকি উপজাতির সশস্ত্র গোষ্ঠী বলে দাবি করা হয়েছে।

PTI জানাচ্ছে, শনিবার বিকেল থেকে জঙ্গি এবং রাজ্য পুলিশ কমান্ডোদের মধ্যে বিরতিহীন বন্দুকযুদ্ধ চলেছে। রবিবার ফের সংঘর্ষ হয়। ফলে 31 ডিসেম্বর কারফিউ পুনরায় জারি করা হয়।

Manipur violence

Advertisements

The Hindu জানাচ্ছে, ভারত সীমান্তের মোরে শহরটি কুকি-অধ্যুষিত টেংনোপাল জেলায় অবস্থিত। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গত 3 মে রাজ্যে শুরু হয়েছিল কুকি-জো এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ। তখন রক্তাক্ত পরিস্থিতি হয়েছিল এই জেলায়। প্রায় আট মাস ধরে জাতিগত সংঘর্ষে মণিপুরে এ পর্যন্ত প্রায় 200 জন নিহত এবং 60,000 জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

আদিবাসী উপজাতীয় নেতাদের ফোরাম কুকি-জো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন বলেছে যে শনিবার কুকি বসতিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিনটি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।

ইম্ফলের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনি ও রবিবার পরপর হামলা চালায় কুকি সশস্ত্র গোষ্ঠী। মোরে শহরে শনিবার মধ্যরাতেও আরেকটি হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশ ব্যারাকে রকেট চালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল তারা। এই হামলায় চার কমান্ডো আহত হয়েছেন।