বিশ্ব ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রিয়াসি জেলার চন্দ্রভাগা (চেনাব) নদীর উপর নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো দৌড়াবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এই ঐতিহাসিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের নিকটবর্তী কাটরা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা হবে। এই রেলযাত্রা যেখানে মাত্র তিন ঘণ্টায় সম্পূর্ণ হবে, সেখানে সড়কপথে একই দূরত্ব অতিক্রমে সময় লাগে প্রায় সাত ঘণ্টা।(Jammu and Kashmir)
এই রেলসেতু শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের (Jammu and Kashmir) দৃষ্টিনন্দন ও প্রকৌশলগত দিক থেকে একটি বিস্ময়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে(Jammu and Kashmir) সেতুটির উচ্চতা প্রায় ৩৫৯ মিটার, যা ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার থেকেও উঁচু। ব্রিজটির নির্মাণে লেগেছে ২২ বছরের দীর্ঘ সময়, যেখানে প্রকৌশল দক্ষতা, ধৈর্য এবং বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে(Jammu and Kashmir)
এই প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন মেলে ২০০৩ সালে, সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। ২০০৪ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও (Jammu and Kashmir) প্রকৃত অর্থে নির্মাণ কাজ গতি পায় ২০০৯ সালের পর। কিন্তু ওই বছর হঠাৎ করে প্রবল হাওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায়।(Jammu and Kashmir) এরপর আবারও ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে চলে। ২০১৭ সালে সেতুর আনুষঙ্গিক কাঠামোগত কাজ শেষ হয়। ২০২১ সালে এর মূল আর্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের আগস্টে সেতুর পূর্ণ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।(Jammu and Kashmir)
তবে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন একাধিকবার বিলম্বিত হয়। গত এপ্রিলের ১৯ (Jammu and Kashmir) তারিখে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ঘটে যায় একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা, যা নিরাপত্তা (Jammu and Kashmir) সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে আরও জটিল করে তোলে। তবে সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবারও কাশ্মীর সফরে আসছেন অপারেশন “সিঁদুর” সফলভাবে শেষ হওয়ার পর(Jammu and Kashmir)
এই রেলসেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে কেবল রেল যোগাযোগে এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে না, বরং এর মাধ্যমে কাশ্মীরের মানুষকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত করা হচ্ছে। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেল লিঙ্কের অংশ হিসেবে এই সেতু ও ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় পর্যটন ও বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই অভাবনীয় উন্নতি আশা করা হচ্ছে।(Jammu and Kashmir)
প্রথম রেল পরিষেবা চালু হবে জম্মুর তাওয়াই স্টেশন থেকে।(Jammu and Kashmir) বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রা করে যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবেন চন্দ্রভাগা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সেতুর আকাশছোঁয়া দৃষ্টিনন্দন রূপ। উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মিত এই ট্রেন হিমালয়ের বুক চিরে চলবে অভাবনীয় গতি ও নিরাপত্তা নিয়ে।(Jammu and Kashmir)
এই প্রকল্প শুধু প্রকৌশল নয়, জাতীয় ঐক্য ও অগ্রগতির প্রতীকও বটে। দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষা শেষে আজ ভারতের মানুষ গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু এখন ভারতের কাশ্মীরে।” এই সাফল্য একদিকে যেমন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তেমনই অন্যদিকে ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়নে এক নতুন দিশা দেখিয়েছে(Jammu and Kashmir)