ব্যাংক ডুবলেও তিন মাসের মধ্যে গ্রাহকদের সমস্ত টাকা ফেরত দেবে সরকার, আশ্বাস মোদীর

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ব্যাংক বেসরকারিকরণের (bank privatisation) চেষ্টাও শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার (modi goverment)। সরকারের এই উদ্যোগে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে আমজনতার মধ্যে। মানুষের…

PM Modi

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ব্যাংক বেসরকারিকরণের (bank privatisation) চেষ্টাও শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার (modi goverment)। সরকারের এই উদ্যোগে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে আমজনতার মধ্যে।

মানুষের সেই উদ্বেগ দূর করতে রবিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, যদি কোনও কারণে ব্যাংক গ্রাহকদের (depositer) টাকা ফেরত দিতে না পারে তবে কারও কোনও চিন্তার প্রয়োজন নেই। কারণ সবার টাকাই সুরক্ষিত থাকবে। সরকার ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রাহকদের জমা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানান সরকার এ পর্যন্ত দেশের ৯৮.১ শতাংশ গ্রাহকের টাকা বিমার (insurance)৷ মাধ্যমে সুরক্ষিত করে ফেলেছে। বাকিদের ক্ষেত্রেও শীঘ্রই এই কাজ করা হবে।

রবিবার ‘ব্যাংক আমানত বিমা’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গ্রাহকদের ৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বিমার মাধ্যমে সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। সে কারণে সরকার ব্যাংক ডিপোজিটের পরিমাণ এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করেছে। ব্যাংক বেসরকারিকরণ করা হলেও মানুষের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কোনও কারণে ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলেও গ্রাহকরা যাতে ৯০ দিনের মধ্যেই তাঁদের টাকা ফেরত পান সে বিষয়টি সরকারই নিশ্চিত করবে।

যথারীতি এদিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, আমি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারকে একাধিকবার বলেছিলাম ব্যাংকের টাকা ফেরতের উর্ধ্বসীমা এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করা হোক। কিন্তু আমার কথায় পাত্তাই দেয়নি কংগ্রেস সরকার। সেজন্যই ওই নিয়ম পাল্টাতেই মানুষ আমাকে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। মানুষ এখন নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। তাঁরা অবশ্যই টাকা ফেরত পাবেন। যদি কোনও কারণে ব্যাংক টাকা দিতে না পারে সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেবে সরকার।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে রুগ্ন ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির বিলগ্নীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার। একই সঙ্গে বেশ কিছু ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। আরও কয়েকটি ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ব্যাংককে আগামী অর্থবছরে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের। যা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই উদ্বেগ নিরসন করার চেষ্টা করলেন।