ইম্ফল, ১৩ সেপ্টেম্বর: মণিপুরে দু বছর ধরে চলতে থাকা জাতিগত হিংসার পর প্রথমবার মনিপুরে নরেন্দ্র মোদী। (Bhupen Hazarika)প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করে শান্তির আহ্বান জানানোর পর অসমে পৌঁছে ভূপেন হাজারিকার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এই অনুষ্ঠানে মোদী ভূপেন হাজারিকা কে ‘ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার মহান চ্যাম্পিয়ন’ বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভূপেন হাজারিকার অবদানের প্রশংসা করেন। মোদী বলেন দশকের পর দশক ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অবহেলা ও সহিংসতা-বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুনে পুড়তে দেখে ভূপেন দা ভারতের ঐক্যের গান গেয়েছেন।
এমনকি কঠিন সময়েও তিনি সমৃদ্ধ উত্তর-পূর্বের স্বপ্ন দেখেছেন। মোদীর এই বক্তৃতা শুধুমাত্র অসমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং উত্তর-পূর্বের ঐক্য ও উন্নয়নের বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে মোদী মণিপুরের শান্তি প্রক্রিয়াকে জোরদার করার পাশাপাশি ভূপেন দা-র মতো আইকনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংস্কৃতির সঙ্গে জাতীয়তাবাদের সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন।
ভূপেন হাজারিকা যিনি অসমীয়া সঙ্গীতশিল্পী, কবি, চলচ্চিত্রকার এবং রাজনীতিবিদ, ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সাদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গানগুলো—যেমন ‘বিস্তীর্ণ পারারে’—সীমান্ত অতিক্রম করে মানবতার বার্তা বহন করেছে। মোদী তাঁর স্মৃতিচারণে বলেন, “ভূপেন দা-র সঙ্গীত একটি অমর নদীর মতো প্রবাহিত হয়েছে।
মণিপুর সফরের প্রথম পর্যায়ে মোদী চুরাচান্দপুরে গিয়ে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেন এবং ৭,৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলা কুকি-মেইতেই জাতিগত সংঘর্ষে হাজার হাজার লোক বাস্তুহারা হয়েছে, এবং রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য মোদী ‘পার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করুন’ বলে আহ্বান জানান।
ইম্ফলে পৌঁছে তিনি রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে দেখা করেন এবং কাঙ্গলা গ্রাউন্ডে বাস্তুহারাদের সঙ্গে কথা বলেন। মণিপুরের যুবকদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতির প্রতি নিবেদনকে তিনি প্রশংসা করে বলেন, “২০১৪ সালে আমি বলেছিলাম, ভারতীয় সংস্কৃতি মণিপুরী সংস্কৃতি ছাড়া অসম্পূর্ণ, এবং ভারতীয় ক্রীড়া মণিপুরের ক্রীড়াবীরদের ছাড়া অসম্পূর্ণ।
নিজের ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল দশা, ক্ষোভ প্রকাশ খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের
হিংসার কালো ছায়া তাদের পরিচয়কে ঢেকে ফেলতে পারবে না।” এই সফরের মাধ্যমে মণিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নকৃত প্রকল্পগুলো যেমন সিভিল সেক্রেটারিয়েট, আইটি এসইজেড, নতুন পুলিশ হেডকোয়ার্টারস এবং ইমা মার্কেট উদ্বোধন করেছেন মোদী। এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে মনে করছে স্থানীয় মানুষ।