দীপাবলিতে যুদ্ধজাহাজে মোদী: মাওবাদী দমনে পুলিশের ভূমিকাকে জানালেন কুর্নিশ

PM Modi Maoist Terrorism Success

নয়াদিল্লি: প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেনাদের সঙ্গেই দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার সেই উদযাপনের পরিসর আরও বিশেষ। সোমবার তিনি উপস্থিত ছিলেন গোয়া উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে, যেখানে তিনি নৌসেনার সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন এবং রাত কাটান যুদ্ধজাহাজেই। পরে সেই মুহূর্তের ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisements

আবেগপূর্ণ বার্তা মোদীর

দীপাবলির শুভক্ষণে নৌসেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্দেশে মোদীর বার্তা ছিল স্পষ্ট ও আবেগপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমি আজ বীর সেনাদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি, যারা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বেঁচে থাকেন। কিন্তু একজন সাধারণ পুলিশকর্মীর লড়াইটাও কম নয়। যাদের হাতে অস্ত্র নয়, কেবল লাঠি, তাদের লড়াইও সমানভাবে শ্রদ্ধার যোগ্য।”

মাওবাদী দমনের প্রশংসা PM Modi Maoist Terrorism Success

মোদী আরও বলেন, দেশের পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শাখা-সিআরপিএফ থেকে বিএসএ, নকশাল দমন অভিযানে যে সাহস ও কঠোর অবস্থান দেখিয়েছে, তা প্রশংসার দাবিদার। “আমি এমন অনেক জওয়ানকে জানি, যাঁরা মাওবাদী দমন অভিযানে গিয়ে নিজের অঙ্গ হারিয়েছেন। এমন শহিদ পরিবারকে চিনি, যাদের জীবনে মাওবাদী হিংসা গভীর ক্ষত রেখে গেছে। তবু তারা দেশের শান্তির জন্য লড়ে যাচ্ছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদীর দাবি, গত এক দশকে মাওবাদী সন্ত্রাস মোকাবিলায় দেশ প্রায় সফলতার দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তাঁর কথায়, “২০১৪ সালের আগে প্রায় ১২৫টি জেলা মাওবাদীদের দখলে ছিল। আজ সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১১-তে। আগে যেখানে মানুষ মাওবাদীদের ভয়ে দীপাবলি উদযাপন করতে পারত না, এবার সেই এলাকাতেই দীপাবলির আলো জ্বলবে। আমরা ৯০ শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছি৷’’

Advertisements

মাওবাদী হিংসা থেকে মুক্তির দোরগোড়ায় ভারত

তিনি আরও যোগ করেন, “মাওবাদী হিংসা থেকে মুক্তির দোরগোড়ায় ভারত। আমি আত্মবিশ্বাসী, নিরাপত্তাবাহিনী খুব শিগগিরই এই হিংসার অবসান ঘটাবে। একসময় তরুণেরা মাওবাদী মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে অস্ত্র তুলে নিত। এখন তারাই সংবিধানের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে আত্মসমর্পণ করছে, সমর্পণ করছে ৩০৩ রাইফেল।”

নৌসেনাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যুদ্ধের অর্থ বোঝেন। কিন্তু ঘরের ভিতর যখন শান্তি ফিরিয়ে আনার লড়াই চলে, তখন যে সংযম, ধৈর্য আর মানবিকতা লাগে, সেটাই প্রকৃত বীরত্ব। কোনও নির্দোষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাই সত্যিকারের জয়।”