অরক্ষিত নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে পাকিস্তানি সীমা হায়দর, কেউ দেখার নেই!

পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢোকার সহজ পথ হলো নেপালে আসা। তারপর খোলা সীমান্ত দিয়ে নির্ঝঞ্ঝাটে ভারতে চলে আসা। ভারত-নেপাল মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের নাগরিকদের কোনও…

পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢোকার সহজ পথ হলো নেপালে আসা। তারপর খোলা সীমান্ত দিয়ে নির্ঝঞ্ঝাটে ভারতে চলে আসা। ভারত-নেপাল মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের নাগরিকদের কোনও ভিসা লাগে না। আর বিশাল সীমান্তের প্রায় সবটাই অরক্ষিত। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা তাদের এজেন্টদের এই পথে ছদ্মবেশে ভারতে ঢোকায়। তাৎপর্যপূর্ণ, পাক নাগরিক সীমা হায়দর (Seema Haider) নেপাল থেকে ভারতে ঢুকেছিলেন। সঙ্গে ছিল সন্তানরা। এভাবে ভারতে ঢুকতে তাদেরও কোনও ঝামেলায় পড়তে হয়নি।

পাক নাগরিক সীমা হায়দরের এভাবে নেপাল থেকে ভারতে আসা ফের দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার উপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কূটনৈতিক কারণে খোলা সীমান্ত রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও উঠছে বিতর্ক।

সীমা কি পাকিস্তানের গুপ্তচর? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা (এটিএস)।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ মহাপরিচালক (আইন শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেছেন সীমা হায়দার একজন পাকিস্তানি এজেন্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় আসেনি। তদন্ত চলছে।  তিনি আরও বলেন পাকিস্তানি নাগরিক সীমা গোলাম হায়দার তার চার সন্তান নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে এসেছেন তার প্রেমিক সচিন মীনার সাথে।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস সচিন ও সীমাকে টানা জেরা করছে। বিষয়টি দুই দেশের সঙ্গে যুক্ত, যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলে কিছু বলা ঠিক হবে না।

পাকিস্তানি সীমা হায়দর এবং ভারতীয় সচিন মীনা ভারতে যাওয়ার আগে এক সপ্তাহ কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে ছিলেন। হোটেলের একটি রুম বুক করার জন্য জাল নাম ব্যবহার করেছিলেন তারা। কাঠমান্ডুর নিউ বিনায়ক হোটেলে ছিলেন সীমা ও সচিন। হোটেলের রিসেপশনিস্ট গণেশের বাচ্চাদের সাথে ইনস্টাগ্রাম রিল শ্যুট করেছিলেন তারা। গণেশ জানান, এক সপ্তাহ কাঠমান্ডুর হোটেলে থাকার পর ওই দম্পতি হঠাৎ ট্যাক্সি নিয়ে পোখরা চলে যান।

সীমা হায়দার (30) মে মাসে নেপাল থেকে একটি বাসে তার চার সন্তানের সাথে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সাথে ছিলেন গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় বসবাসকারী সচিন  মীনা (22)। দুজনে অনলাইন মোবাইল গেম PUBG এর মাধ্যমে ২০১৯ সালে প্রথম যোগাযোগ করেন। গত ৪ জুলাই সীমা হায়দরকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য স্থানীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এবং অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য শচীন মীনাকে আটক করে। এর পরেই ক্রমাগত সীমা হায়দরকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।