সীমান্তে ড্রোন-ড্রামা: যুদ্ধবিরতির মাঝেও মাদক-অস্ত্র পাঠাচ্ছে পাকিস্তান

নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান সাময়িক যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও সীমান্তে থামছে না উত্তেজনার আগুন। ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও পাকিস্তান নিয়মিতভাবে ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের…

Pakistan drone smuggling

নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান সাময়িক যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও সীমান্তে থামছে না উত্তেজনার আগুন। ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও পাকিস্তান নিয়মিতভাবে ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে অস্ত্র ও মাদক ফেলছে বলে জানিয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF)।

সরকারি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৪ মে থেকে ৮ জুনের মধ্যে বিএসএফ পাঞ্জাব সেক্টরে মোট ২৪টি পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

   

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব

এর আগে, ৭ ও ৮ মে-র মাঝরাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং আরও সাতটি জঙ্গি ঘাঁটিতে টার্গেটেড এয়ারস্ট্রাইক চালায়। এর জবাবে ১০ মে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) ভারতের DGMO-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।

তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও ৭-১৩ মে’র মধ্যেই পাকিস্তান চারটি ড্রোন পাঠায়, যেগুলোতে ছিল ছোট অস্ত্র এবং মাদক। ৮ মে ভোরে একযোগে কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থান সীমান্তে নজরদারি ড্রোন পাঠানো হয়। অধিকাংশ ড্রোনে পে-লোড না থাকলেও এগুলোর উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট নজরদারি এবং মনোবল ভাঙা।

ক্রমাগত ড্রোন প্রবেশ বেড়েছে Pakistan drone smuggling

পহেলগাঁও হামলার আগ পর্যন্ত, অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বিএসএফ ৩৫টি ড্রোন ধ্বংস করে। এরপর ২৩ এপ্রিল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৭-এ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর-এর পর ফের ড্রোন প্রবেশ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।

সর্বশেষ ১০ জুন, পাঞ্জাবের তরণ তরণ জেলার মেহদীপুর গ্রামে একটি DJI Mavic 3 Classic ড্রোন উদ্ধার করে বিএসএফ। ড্রোনটির সঙ্গে ছিল ৪৮৪ গ্রাম হেরোইন, যা হলুদ পলিথিনে মোড়ানো ও একটি লোহার হুক এবং রাতেও দৃশ্যমান এমন স্ট্রিপ লাগানো ছিল। ৫ জুন একই এলাকায় আরেকটি DJI Air 3 ড্রোন উদ্ধার হয়। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকায় ৯ এমএম ক্যালিবারের ৪৬টি তাজা গুলি পাওয়া যায়।

Advertisements

DJI ড্রোনে করে মাদক পাচার

১ জুন একদিনেই চারটি ড্রোন ধরা পড়ে, যেগুলোর মধ্যে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। বিএসএফ সূত্র জানায়, মে মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়েই একই ধরনের DJI ড্রোনে করে মাদক পাচার চলছিল।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত শুধু পাঞ্জাব সেক্টরেই বিএসএফ ১০০-রও বেশি পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত বা জব্দ করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্র ও মাদকের এই ধারাবাহিক অনুপ্রবেশ শুধু সীমান্ত নিরাপত্তার জন্যই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার দিক থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

 Bharat: Despite a ceasefire, Pakistan persists with drone incursions, dropping weapons and drugs into Indian territory. BSF has intercepted 24 drones in Punjab since mid-May, highlighting ongoing border tension after ‘Operation Sindoor’ and continuous efforts to combat smuggling.