দু’দফা যুদ্ধবিরতির অনুরোধ পাকিস্তানের, ভারতের হাতে ততক্ষণে শেষ ১৬০ জন

নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান একাধিকবার ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়। প্রথমবার ৭ মে সন্ধ্যায়, সরাসরি পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) ভারতের সেনাপ্রধানকে…

দু’দফা যুদ্ধবিরতির অনুরোধ পাকিস্তানের, ভারতের হাতে ততক্ষণে শেষ ১৬০ জন

নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান একাধিকবার ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়। প্রথমবার ৭ মে সন্ধ্যায়, সরাসরি পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) ভারতের সেনাপ্রধানকে বার্তা পাঠিয়ে শান্তির প্রস্তাব দেন। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের মতে, সেই আবেদন যতটা ‘শান্তির’, ততটাই সন্দেহজনক। কারণ, ওই বার্তার ঠিক পরেই সীমান্তে ফের হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী ও জঙ্গিগোষ্ঠী। ফলে ইসলামাবাদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ সন্ত্রাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত

৭ মে পাকিস্তানের শান্তির প্রস্তাব আসার আগে, ৬ মে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী শুরু করে অপারেশন সিঁদুর — অনন্তনাগের পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদী হামলার পালটা জবাব। মাত্র চারদিনে সীমান্তের ওপারে অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত।

   

সূত্রের খবর, এই অভিযানেই পাকিস্তানের মাটিতে মারা পড়ে ১৬০-র বেশি — যার মধ্যে রয়েছে জঙ্গি, তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট সিস্টেম এবং পাক সেনার সদস্যরা।

বিশেষ করে বাহাওয়ালপুরে, জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে মৃত্যু হয় অন্তত ২০ জনের। এঁদের মধ্যে অনেকেই মাসুদ আজহারের আত্মীয় বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান সরকার যদিও স্বীকার করেছে মাত্র ১১ জন সেনার মৃত্যু এবং ৭৮ জনের আহত হওয়ার কথা।

সীমান্ত জুড়ে পালটা হামলা, একাধিক পাক ঘাঁটিতে ধ্বংসাত্মক আঘাত Pakistan ceasefire request

ভারতের পালটা হামলা সীমাবদ্ধ ছিল না শুধু লঞ্চপ্যাডে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও দেশের অভ্যন্তরে থাকা একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে টার্গেটেড স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বাহিনী।

১০ মে-র বিমান ও মিসাইল হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘাঁটিগুলির তালিকা:

লাহোর বিমানবন্দর: ২ জন নিহত

সারগোধা: ২ নিহত, ৭ আহত

রহিমিয়ার খান: ৫ আহত

Advertisements

বাহাওয়ালপুর: ২ নিহত, ৮ আহত

সিয়ালকোট: ১১ নিহত

রাওয়ালপিন্ডি: ৪ নিহত

১০ মে DGMO স্তরে আলোচনা, তাতেই যুদ্ধবিরতির ঐক্যমত

চার দিনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ১০ মে বিকেল ৩:৩৫-এ ভারত-পাকিস্তান সেনার DGMO স্তরে হয় আলোচনার সূচনা। এই বৈঠকেই সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়। তবে এই সমঝোতা কোনও তৃতীয় পক্ষ বা আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে নয়—সম্পূর্ণভাবে সেনা যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই হয়।

পরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল জানান, পাকিস্তান নিজেরাই ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার কার্যকারিতা স্বীকার করে নিয়েছে এবং তারপরেই যুদ্ধবিরতির আরজি পাঠায়।

ভারতের বার্তা: শুধু কথা নয়, প্রমাণ চাই
যুদ্ধবিরতির পরও ভারতের প্রতিরক্ষা আধিকারিকেরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের অভিপ্রায় নিয়ে সন্দেহ কাটেনি। এক শীর্ষ সেনা কর্তা বলেন, “পাকিস্তানের কথায় নয়, বিশ্বাস করব ওদের কাজ দেখে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ না হলে, এই ‘শান্তি’ অর্থহীন।” সীমান্তের ওপারে যে কোনও রকম ‘মিসঅ্যাডভেঞ্চার’ রুখতে ফ্রন্টলাইন ফর্মেশনকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

 শান্তির প্রস্তাবের আড়ালে কি নতুন ছক? প্রস্তুত ভারত, সাবধান নয়াদিল্লি

এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, পাকিস্তানের দিক থেকে ফের উস্কানি এলে ভারত যে আর দেরি করবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি। ‘অপারেশন সিন্দূর’ শুধু প্রতিরোধ নয়, একটা কূটনৈতিক বার্তাও — সন্ত্রাসকে আর কোনও ছাড় নয়।

Bharat: Pakistan sought a ceasefire from India on May 7, following ‘Operation Sindhoor,’ a retaliatory Indian military operation that destroyed at least 9 terror camps across the border, killing over 160 militants and Pakistani soldiers. India questions Islamabad’s sincerity after fresh attacks post-ceasefire request amidst escalating New Delhi-Islamabad tensions.