গোটা রাজ্যে আবেদনকারীর সংখ্যা ৮, মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী-শাহ’র সাধের CAA

গুয়াহাটি: বিজেপিশাসিত অসমে মুখ থুবড়ে পড়ল সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (CAA)। অসমে CAA লাগু হওয়ার পর মাত্র ৮ জন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) অধীনে নাগরিকত্বের জন্য…

গোটা রাজ্যে আবেদনকারীর সংখ্যা ৮, মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী-শাহ'র সাধের CAA

গুয়াহাটি: বিজেপিশাসিত অসমে মুখ থুবড়ে পড়ল সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (CAA)। অসমে CAA লাগু হওয়ার পর মাত্র ৮ জন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন (CAA)। এমনটাই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

সাংবাদিক বৈঠকে হিমন্ত বলেন, সিএএ-তে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন মাত্র ৮ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের যে সদস্যরা NRC তালিকায় স্থান পাবেন না, তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য সিএএ-র অধীনে আবেদন করবেন না।

অসমে নাগরিকত্বের কাট অফ ইয়ারের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন ১৯৭১ সালের আগে ওনারা ভারতে এসেছিলেন।

২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’, ঘোষণা অমিত শাহের, কী কৌশল বিজেপির?

অসমে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনসিআর) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই তালিকা ২০১৯ সালে প্রকাশ্যে এসেছিল। NRC-র চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যায়। হিমন্ত বলেন, আমি অনেকের সঙ্গে দেখা করেছি। ওনারা বলেছেন, ভারতীয় নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত সম্পূর্ণ নিশ্চিত। আমরা আদালতে এটি প্রমাণ করতে চাই।

২০১৬ সালে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করে মোদী সরকার। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয় বিল। তারপর উনিশের ডিসেম্বরেই রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে আইনে পরিণত হয়। ২০১৯ সালের শেষে আইন তৈরি হলেও এত বছরেও তা চালু করতে পারেনি মোদী সরকার। এ নিয়ে অনেকের মনেই ক্ষোভ তৈরি হয়। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সমাজও বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করে।

সীমান্তজুড়ে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি পাচার! ‘অভিযুক্ত’ মোদীর মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর

Advertisements

চলতি বছর ১১ মার্চ মাসে দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে এলে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আসা হিন্দু, পারসি, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ এবং খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভারতে এলে তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সিএএ-র তীব্র বিরোধিতা করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই সিএএ কার্যকর করতে দেবেন না। এর পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানান, সিএএ কোনওভাবেই আটকাতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘অযোধ্যায় হারিয়েছি, গুজরাতেও…’, বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি রাহুলের

এরপর ১৫ মে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) অধীনে প্রথম নাগরিকত্বের শংসাপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১৪ জনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই শংসাপত্র দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা ওই দিন নয়াদিল্লিতে কয়েকজন আবেদনকারীর হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন।