অনলাইনে দুধ কিনতে গিয়ে ১৮.৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধা

Online Fraud: প্রতারণার শিকার ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধা। অনলাইনে দুধ কিনতি গিয়ে খোয়ালেন ১৮.৫ লক্ষ টাকা। মুম্বইয়ের ওয়াডালার বাসিন্দা বৃদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে যে একটি অনলাইন…

অনলাইনে দুধ কিনতে গিয়ে ১৮.৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধা

Online Fraud: প্রতারণার শিকার ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধা। অনলাইনে দুধ কিনতি গিয়ে খোয়ালেন ১৮.৫ লক্ষ টাকা। মুম্বইয়ের ওয়াডালার বাসিন্দা বৃদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে যে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দুধ কিনতে গেলে সর্বস্বান্ত হন তিনি। এই পরিমাণ টাকাটা খালি হয়ে যায় তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।

জানা গিয়েছে, চলতি মাসে শুরুতে এই ঘটনাটি ঘটে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দীপক নামক এক ব্যক্তি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজেকে দুধের কোম্পানির প্রতিনিধি বলে দাবি করেন। এরপর ওই ব্যক্তি বৃদ্ধার ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠান। এরপর ওই বৃদ্ধা কে ওই লিঙ্ক ক্লিক করে তারপর অর্ডার দেওয়ার জন্য বিবরণ দিতে বলে।

   

বৃদ্ধাকে ফোনেই থাকতে বলেন ওই ব্যাক্তি। এরপর লিঙ্ক ক্লিক করার পর কী কী করতে হবে তা অনুসরণ করতে বলেন তিনি। ফোনটি প্রায় ১ ঘণ্টার উপর সময় ধরে চলে। এরপর একঘেয়েমির জন্য বৃদ্ধা ফোনটি কেটে দেন।

পরের দিন ফের ফোন করেন ওই ব্যক্তি। এরপর ওই বৃদ্ধার আরও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। কিছুদিন পর, বৃদ্ধা ব্যঙ্কে গেলে জানতে পারেন তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১.৭ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। অন্য আরও দুটো অ্যাকাউন্ট চেক করলে দেখেন যে সেগুলো থেকেও টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। তিনটে অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৮.৫ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বৃদ্ধা। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisements

আরেকটি পৃথক ঘটনায়, মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ের ৬৫ বছর বয়সী একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী দুই মাসের মধ্যে দুটি পৃথক অনলাইন বিনিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন। জুন মাসে, ভুক্তভোগীকে শেয়ার ট্রেডিং টিপস প্রদানকারী একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হয়েছিল। পরে, একজন মহিলা তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য একটি লিঙ্ক শেয়ার করেন, যেখানে তিনি ৩০.৬৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, অ্যাপটিতে ১.২৩ কোটি টাকা রিটার্ন দেখানো হয়েছিল।

জুলাই মাসে, তিনি ইনস্টাগ্রামে আরেকটি বিনিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখতে পান এবং অন্য একটি অ্যাপের মাধ্যমে ২১.২৫ লক্ষ টাকা জমা দেন, যেখানে ১.৪৬ কোটি টাকার রিটার্ন দেখানো হয়েছিল। তিনি যখন তহবিল তোলার চেষ্টা করেন, তখন উভয় প্ল্যাটফর্মই তা প্রত্যাখ্যান করে।

প্রতারণা বুঝতে পেরে তিনি মঙ্গলবার উত্তর অঞ্চল সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অজ্ঞাত সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।