Kashmir: নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম এক জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র

News Desk, New Delhi: আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরেই কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। জঙ্গি দমন করতে প্রতিদিনই চলছে তল্লাশি অভিযান। এই তল্লাশি অভিযানে…

kashmir army

News Desk, New Delhi: আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরেই কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। জঙ্গি দমন করতে প্রতিদিনই চলছে তল্লাশি অভিযান। এই তল্লাশি অভিযানে বুধবার ভোরে পুঞ্চ জেলার দুরিয়ান ভাট্টি জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। ধ্বংস হল জঙ্গিদের ঘাঁটি। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গিও খতম হয়েছে।

সম্প্রতি অনুপ্রবেশকারী এক পাক জঙ্গি ধরা পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। ধৃত জঙ্গিকে জেরা করেই নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের গোপন ডেরার হদিশ পায় বলে মনে করা হচ্ছে। ওই পাক জঙ্গিকে নিয়েই গত কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই তল্লাশি অভিযান চালাতে বুধবার ভোরে দুরিয়ান ভাট্টির জঙ্গলে গিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। জওয়ানদের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। উভয়পক্ষের এই সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মী ও এক জওয়ান জখম হন। একই সঙ্গে গুলিতে জখম হয় এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি। কিন্তু গুলির লড়াই চলায় আহত ওই জঙ্গিকে উদ্ধার করতে পারেনি সেনাবাহিনী। পরে ওই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম জিয়া মুস্তাফা।

   

সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর বন্ধ হয় গুলির লড়াই। গুলির লড়াই বন্ধ হলে জঙ্গলের ভেতর জঙ্গিদের একটি গোপন ঘাঁটি থেকে পাঁচটি অ্যাসাল্ট রাইফেল, ৩৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, দুটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়।

একই সঙ্গে ওই গোপন গুহা থেকে মেলে কম্বল, শুকনো খাবার, বিস্কুট, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও একাধিক জুতো। নিরাপত্তা বাহিনীর আশঙ্কা, জঙ্গিরা গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল। সে কারণেই তারা খাবার-দাবার, ওষুধ মজুত করেছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা ঘন জঙ্গলের ভিতর পালিয়ে যায়। ওই জঙ্গলে জঙ্গিদের সন্ধানে জোরদার চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

সেনার এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই জঙ্গলের মধ্যে যে সমস্ত গুহা ছিল সেগুলি সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ১২ জন বাসিন্দাকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গিদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী আরও জানিয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা জঙ্গিদের আশ্রয় এবং নানা গোপন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতো। কিন্তু বাসিন্দারা এই অভিযোগ মেনে নিলেও জানিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় এই কাজ করতেন না। জঙ্গিরা তাঁদের প্রাণের ভয় দেখিয়েই এ ধরনের কাজ করতে বাধ্য করতো। তবে ধৃত ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরই রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলা দিয়ে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে। এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে খতম করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ১৫ দিন ধরে গোটা ভূস্বর্গেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলছে জোরদার তল্লাশি।