Omicron: উদ্বেগ বাড়ছে, বৈঠকে মোদী

নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত‌‌ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। ওমিক্রনের আশঙ্কায় কোভিড বিধি কঠোর করা হয়েছে ইউরোপের…

Modi

নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত‌‌ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। ওমিক্রনের আশঙ্কায় কোভিড বিধি কঠোর করা হয়েছে ইউরোপের নানা দেশে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ব্রিটেন। ওমিক্রনের ধাক্কায় কাবু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী লাফতালি বেনেট ইতিমধ্যেই প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ও ৬০ বছরের উর্ধ্বে সকলকে টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।ভারতেও লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দেশের ওমিক্রণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০০ পার করেছে। দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামিকাল দেশের কোভিড পরিস্থিতির সম্পর্কিত পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ২ ডিসেম্বর ভারতে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। ধীরে ধীরে দেশের একাধিক রাজ্য ছড়িয়ে পড়ছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দেশে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৩ জন। যার মধ্যে দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ জন এবং মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। ৯০ জন‌‌ রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসার‌পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

 

করোনার‌ প্রথম ও‌ দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা পেয়েছে দেশ। তাই দেশজুড়ে ওমিক্রনর চোখরাঙানির‌ আগেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশ।মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘গবেষণায় জানা গিয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বেশি সংক্রামক। যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় ওমিক্রন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই হাতের নাগালের বাইরে না চলে যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে,নতুন ভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

 

বুধবার এইমস দিল্লির ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ওমিক্রন অন্যান্য ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে বেশি ছোঁয়াচে। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট ঠেকানোর দু’টি পদ্ধতি আছে। যত ‌শীঘ্র সম্ভব ভ্যাকসিন নিতে হবে‌ এবং কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে কোভিড বিধি, তাহলেই ওমিক্রনকে ঠেকানো সম্ভব। তিনি আরও জানান,” আমাদের কাছে এখন সেকেন্ড জেনারেশনের ভ্যাকসিন রয়েছে। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্ট মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। চলতি ভ্যাকসিনের সামান্য পরিবর্তন করে ওই ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করা যায়। ভ্যাকসিনের বেশকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব‌ যা নিয়ে পরীক্ষা চলছে এবং চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন অর্থাৎ যে ভ্যাকসিন একইসঙ্গে ডেল্টা ও বিটা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে সক্ষম, এইরকম ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়।”