পেশাদার আইনজীবী (Nupur Sharma) নূপুর শর্মা। তিনি মেপে কথা বলতে জানেন। তাঁর বাচনে বরাবর মুগ্ধ বিজেপির সমর্থকরা। তবে ইসলামের নবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি কটুক্তি করেন নূপুর। বিতর্ক এখানেই। আরও প্রশ্ন, হঠাৎ নূপুর এমন বলতে গেলেন কেন?
বাচনরীতির জন্য দ্রুত বিজেপির জাতীয়স্তরের মুখপাত্র হয়েছিলেন। তীব্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক কটাক্ষ করা নূপুরের একটি মন্তব্যের জেরে ঘরে-বাইরে মোদী সরকার বিপর্যস্ত।
কিন্তু নূপুরের এমন মন্তব্যের বিশ্লেষণে উঠে আসছে আর্থিক সংকট, তীব্র বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তথৈবচ। বিভিন্ন অ-বিজেপি দলগুলি ছন্নছাড়া হয়ে মোদী বিরোধিতায় সামিল। তারা জোটবদ্ধ হলে পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে যাবে না। অভিযোগ উঠছে, বেকারত্ব ও আর্থিক সংকট থেকে দেশের বড় অংশের মানুষকে দূরে রাখতেই ধর্মীয় তাস ফের খেলেছে বিজেপি। আর দলীয় মুখপাত্র হয়ে সুযোগ বুঝে কাজটি করেছেন নূপুর।
নূপুরকে বিজেপি থেকে সাসপেন্ড করা, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর সবই নির্দিষ্ট গতি ধরে এগোচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ঠিক তেমনিভাবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকস্তরে চলছে সমস্যা সমাধানে বার্তা আদান প্রদান। কিছুক্ষেত্রে নরম হতে শুরু করেছে অারব দুনিয়া ও বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলি।
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের কূটনীতি ‘সফল’। নরম হয়েছে ইরান। মুসলিম দুনিয়ার দুই মেরু।ইরান নয়াদিল্লিতে পক্ষে আসায়, অপর মেরু সৌদি আরবও দ্রুত নরম হয়ে যাবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বীতে আড়াআড়ি বিভক্ত মুসলিম ধর্মের মধ্যে ইরান শিয়াপন্থী ও সৌদি আরব সুন্নিপন্থী।
বিশ্লেষণে আসছে ঘরোয়া ক্ষেত্রে বিজেপি যে ধর্মীয় মেরুকরণ চাইছে সেটির ক্ষেত্র আগামী লোকসভা ভোটের আগে তৈরি হয়ে গেল। কোনওভাবেই ইস্যুটিকে হাতছাড়া করবে না বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাদের জবাবে আরও গরম হবে ইসলামপন্থী নেতারা।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্নাতক, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে আইনে স্নাতকোত্তর নূপুর শর্মাকে দিয়ে একটা ছক্কা মেরেছেন মোদী। নূপুর যোগ্যতা রেখেই তাঁর কাজটি করেছেন। এমনই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।