শিল্পের সংখ্যায় মোদীর ঘরের গুজরাটকে পিছনে ফেলেছে বিভিন্ন রাজ্য

সরকার স্বীকার করল অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা গুজরাটের (Gujarat ) তুলনায় অন্য রাজ্যে বেশি ছড়িয়েছে। করোনা অতিমারীর কারণে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও…

number of industries has left various states behind Modi's home state of Gujarat

সরকার স্বীকার করল অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা গুজরাটের (Gujarat ) তুলনায় অন্য রাজ্যে বেশি ছড়িয়েছে। করোনা অতিমারীর কারণে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। প্রসঙ্গটি লোকসভায় উত্থাপন করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, রাজ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে কতগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে? এর মধ্যে কতগুলি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত? ২০২০ সালে করোনা মহামারী রুখতে লকডাউন জারি করার ফলে এ ধরণের কতগুলি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে?

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী নারায়ন রানে। তিনি জানান, নথিভূক্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংখ্যায় গুজরাটকে অনেক পিছনে ফেলেছে মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্য।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

রানে এদিন বলেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই তাঁর মন্ত্রক কিছু নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। সেই নীতি অনুসারে চালু করা হয়েছে ‘উদ্যম রেজিস্ট্রেশন’ নামে একটি পোর্টাল। ওই পোর্টালের তথ্যে এসেছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা দেশে ৬৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৯৫টি সংস্থার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অতিক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে ১৪ লক্ষের কাছাকাছি অতিক্ষুদ্র শিল্পের নাম নথিভুক্ত রয়েছে।গুজরাটে এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। এই রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা পাঁচ লাখের কিছু বেশি। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে অতিক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১হাজার ২১৭।

number of industries has left various states behind Modi's home state of Gujarat

মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে অবিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যে অতিক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা বেশি। ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা দেশে নথিভুক্ত ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৮৮। যথারীতি এক্ষেত্রেও গুজরাটকে পিছনে ফেলেছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে নথিভূক্ত ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা ৫১ হাজারেরও বেশি। তুলনায় গুজরাটে এই সংখ্যাটা ২০ হাজারের কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গে নথিভূক্ত ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। মহারাষ্ট্রে মাঝারি মানের শিল্পের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। গুজরাটে এই সংখ্যাটা চার হাজারের মতো। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নথিভূক্ত মাঝারি মানের শিল্পের সংখ্যা ১৬৫৪ টি।

মন্ত্রী নারায়ণ রানে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা দেশে মহিলা পরিচালিত নথিভূক্ত শিল্পের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৮৯টি। মহিলা পরিচালিত নথিভূক্ত শিল্পের ক্ষেত্রেও গুজরাটকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছনে ফেলেছে মহারাষ্ট্র এবং আরও কয়েকটি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মহিলা পরিচালিত অতিক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা ২৭৭৩৫ টি। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩০০ ও ৬৪টি। অন্যদিকে করোনাজনিত কারণে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের কতগুলি শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রকের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে মন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন।