অর্ধেকও খরচ হয়নি পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকা! হিসাব জানলে চোখ কপালে উঠবে

করোনা মহামারীর মত জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য ২০২০ সালে তৈরি করা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ড। এখনও পর্যন্ত হিসাব বলছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি…

Modi

করোনা মহামারীর মত জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য ২০২০ সালে তৈরি করা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ড। এখনও পর্যন্ত হিসাব বলছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি জমা পড়েছে তহবিলে। অথচ তার অর্ধেকও এখনও খরচ হয়নি। সেই তহবিল থেকে যৎসামান্য অর্থ এখনও পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে।

অর্থ খরচ না করার এই অভিযোগ বিরোধীরা করেনি। বরং বলা যেতে পারে সরকারই এই কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সোমবার পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটে একটি অডিট স্টেটমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যদিও তা থেকে খরচ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য সরকার তহবিল থেকে ১০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এছাড়াও কোভিড চিকিৎসার জন্য খরচ করেছে ১৩৯২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিদেশ থেকে এই তহবিলে জমা পড়েছে ৪৯৪.৯১ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই তহবিলে মোট সঞ্চিত অর্থ ছিল ৩০৭৬.৬২ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মোকাবিলায় এই ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল।

এর আগে এই তহবিলের কোনও হিসাব পরীক্ষা হয়নি। টাকার হিসাব চেয়ে বিরোধীরা একাধিকবার সরব হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিরোধীদের সেই দাবিকে কার্যত পাত্তা দেওয়া হয়নি। আরটিআইয়ের প্রসঙ্গ উঠলে সরকারের তরফে দাবি করা হয়, পিএম কেয়ার্স ফান্ড একটি পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এটি কোনও সরকারি সংস্থা নয়। তাই এক্ষেত্রে আরটিআই খাটবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার জানিয়েছেন, এই ফান্ডের জমাকৃত অর্থ থেকেই করোনার টিকা ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। এই ফান্ডে জমা পড়া টাকার অধিকাংশই অযথাই পড়ে রয়েছে।