Lata Mangeshkar : সুরের রানি নূরজাহান পাকিস্তানে যাওয়ার আগে বলেন, লতা খুব নাম করবে

লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) আর কেই। কথাটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই। চির বিদায় নিয়েছেন তিনি। রেখে গিয়েছেন তাঁর গাওয়া হাজারের বেশী গান, সুর, কতো গল্প। 

Advertisements

লতা মঙ্গেশকরের আইডল ছিলেন নূরজাহান। দেশ ভাগ হওয়ার পর ভারত ছেড়ে পাকাপাকিভাবে চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। কিন্তু তাঁর ভক্তরা কখনও ভুলতে পারেননি তাঁকে । লতা মঙ্গেশকরও না। একবার নূরজাহানের সামনে গান গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গেশকরের বয়স তখন কম। বাবাকে স্মরণ করে গান গেয়েছিলেন। মুগ্ধ হয়ে শুনেছিলেন নূর জাহান। 

   

নাসরিন মুন্নী কবীর তাঁর একটি বইতে লতা মঙ্গেশকরের গান সম্পর্কে কিছু তথ্য, গল্প তুলে ধরেছিলেন- লতাজি গান গাওয়ার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী ছিলেন। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। 

Advertisements

বইটিতে নাসরিন লিখেছেন, ” লতাজিকে একবার নূরজাহানের সামনে গান গাইতে বলা হয়েছিল। ‘বড়ি মা’ ছবির সেটে নূরজাহানের সঙ্গে পরিচয় হয় লতাজির। মাস্টার বিনয় তাঁকে নূরজাহানের সামনে একটি গান গাইতে বলেছিলেন। উনি তখন রাগ জয়জয়বন্তী গেয়েছিলেন। এরপর নূরজাহান চলচ্চিত্রের একটি গান গাইতে বলেন। লতাজি তখন আর.সি বোরালের ” ছবি থেকে ‘জীবান হ্যায় বেকার তুম হারে বিনা’ গানটি গেয়েছিলেন।”

“লতাজি যখন এই গানটি গাইছিলেন, তখন তিনি স্মরণ করেছিলেন তাঁর বাবাকে। তাঁর বাবা তাঁকে বলতেন, ‘গুরুর সামনে গান গাইলে নিজেকে গুরু মনে করবে।’ লতাজির গান শোনার পর নূরজাহান বলেছিলেন, ‘আরও অভ্যাস করো। এবং বলেছিলেন যে লতাজি একদিন খুব বড় গায়িকা হয়ে উঠবেন।”