অর্থনীতি নিয়ে মোদীকে একহাত মনমোহনের, পালটা দিলের নির্মলা

সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী…

nirmala sitaraman

সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হয়ে পাল্টা জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

সাধারণত মনমোহন সিং খুব একটা কথা বলেন না। তাই তাঁর মুখ থেকে গতকাল যখন বেরিয়ে আসে যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর দল বিজেপি অর্থনীতি ও বিদেশনীতির কিছুই বোঝে না, তখন তা গোটা দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। তাই শুক্রবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা বলেন, মনমোহন সিং এমন একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি ভারতকে ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছিলেন। ২২ মাসেও যিনি মুদ্রাস্ফীতিকে সামান্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। মনমোহন সিং এমন একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি চোখের সামনে দেখতেন দেশের মূলধন বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তা ঠেকানোর কোন উপায়ে বের করতে পারেননি। অথচ আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে গত সাত বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে আজ ৬৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। সে সব কথা ভুলে গিয়ে আচমকাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলছেন। আসলে সম্ভবত তিনি পাঞ্জাব নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই মন্তব্য করেছেন।

একইসঙ্গে নির্মলা এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবে যখন করোনার টিকা বিক্রি করা হচ্ছিল তখন নীরব ছিলেন মনমোহন। অর্থমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “আমি মনমোহনজিকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের কথা আশা করি না। শুধুমাত্র ভোটের জন্য তাঁর মত একজন পন্ডিত মানুষ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। মনমোহন সিং দেশের সেরা অর্থনীতিবিদদের একজন। কিন্তু করোনাজনিত অতিমারীর মধ্যেও দেশ যখন দ্রুততম অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন তিনি এধরনের কথা কেন বললেন তা বোঝা যাচ্ছে না।”

উল্লেখ্য, গতকাল ওই ভিডিও বার্তায় মনমোহন সিং বলেছিলেন, “গোটা দেশের অর্থনীতি ও বিদেশনীতি ডুবে গেলেও মোদীর কোন হুঁশ নেই। তিনি শুধুই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী পদের একটা মর্যাদা আছে। উনি সেই মর্যাদার কথাটি ভুলে গিয়েছেন। নিজেদের ভুলের জন্য ইতিহাসকে দোষ দেওয়া কখনই ঠিক নয়।” তিনি যে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সে সময় কখনওই দেশের সম্মানহানি হতে দেননি বলেও দাবি করেন।