বেঙ্গালুরতে ২৬টি অ-বিজেপি দলের বৈঠকে নতুন জোটের নাম ঠিক হলো। এই নাম INDIA, নাম টুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই নতুন নাম ঘোষণার সাথে সাথে অবলুপ্ত হলো একদিনের ইউপিএ জোট।
INDIA নামের পূর্ণ অর্থ হলো:
Indian
National
Developmental
Inclusive
Alliance
কংগ্রেস নেতৃত্বে অ-বিজেপি জোটপন্থীরা যে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক জোট বা UPA গঠন করে একুশ শতকের প্রথম দুই দশকে পরপর সরকার গড়েছিল। ইউপিএ জোট গঠনের সময় কংগ্রেস ও বামপন্থীরা ছিল মূল দুই রাজনৈতিক খুঁটি। পরিস্থিতি বদলে গিয়ে এখন অ-বিজেপি জোটের অন্যতম শক্তি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃ়ণমূল কংগ্রেস, তামিলনাডুর শাসকদল ডিএমকে, দিল্লি ও পাঞ্জাবের ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি। তবে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ক্ষমতা বেশি। কারণ তারা একাধিক রাজ্যে সরকারে আছে। আর বামপন্থীদের অবস্থা করুণতর। আপাতত তারা কেরলের ক্ষমতায়। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি থাকলেও এই দুই রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধী আসনেও নেই বাম শিবির।
এদিন বৈঠকে কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, তার দল প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার নয়। কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতা বা প্রধানমন্ত্রী পদে আগ্রহী নয়। এই বৈঠকে আমাদের উদ্দেশ্য নিজেদের জন্য ক্ষমতা লাভ করা নয়। এটি আমাদের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার রক্ষা করা।
বিরোধী জোটের নতুন নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন। শাসক এনডিএ জোট বলাম ইন্ডিয়া জোটের লড়াই শুরু হয়ে গেল বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, এবার বিজেপিকে লড়াই করতে হবে ইন্ডিয়ার সাথে! সেক্ষেত্রে এনডিএ জোট কি তাদের জোটের নাম পাল্টে দেবে? উঠছে এই প্রশ্ন।
বেঙ্গালুরর বৈঠকে বিরোধী জোটের নতুন নাম ঠিক হলেও জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে তা চূড়ান্ত হয়নি। কংগ্রেস এই দৌড় থেকে সরে যাওয়ায় কাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা নিয়ে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি জোট ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি যেতে পারে তাহলে সর্বাধিক আসনের দলকেই দায়িত্ব দেওয়ার পথ খোলা রাখা হলো।