নয়াদিল্লি: ভোট-চুরি নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে ‘প্রমাণ’ পেশ করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কর্ণাটকের অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রায় ৬০১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশন জ্ঞানেশ কুমারকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি।
যদিও রাহুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে তা “ভুল এবং ভিত্তিহীন” বলে মন্তব্য করেছিলেন জ্ঞানেশ কুমার। এবার “ভোট-চুরি” অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ। এদিন তিনি বলেন, “জনসমক্ষে কথা বলার আগে রাহুল গান্ধী হোমওয়ার্ক করে আসেন না”। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী আর কত মিথ্যে বলবেন? উনি গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আমি আগেও বলেছি, রাহুল গান্ধী কখনও হোমওয়ার্ক করে আসেন না”।
সেইসঙ্গে রাহুল নিজের দলেরই নেতাদের বিপদে ফেলছেন বলে মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, “উনি অলন্দ বিধানসভার কথা বলেছে যেখানে বিজেপি ২০১৮ সাল পর্যন্ত জিতে এসেছে। কিন্তু ২০২৩ সালে ২৪৮ ভোটে কংগ্রেস জিতে যায়। আপনি তো আপনার কেন্দ্রের প্রার্থীর জন্যই বিপদ ডেকে আনছেন। আপনি কি উদ্দেশ্য এবং সঙ্গতি ভুলে গেছেন?”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাহুলের অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেও অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে যে অনলাইনে ভোটার বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তা স্বীকার করে নেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এই নিয়ে কমিশনই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে রবি শঙ্কর এদিন বলেন, “২০২৩ থেকে তো কর্ণাটকে কংগ্রেস (Congress) ক্ষমতায় রয়েছে। সিআইডিও তাঁদের অধীনে। কিন্তু মিথ্যা বলে ভুল তথ্য পেশ করা রাহুলের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দলনেতা হিসেবে উনি ওনার পদের সম্মান খোয়াচ্ছেন”। এদিন রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। “পাকিস্তানের ন্যারেটিভ” প্রচার করছেন বলে রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।