নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের গুরুতর অভিযোগ আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই মামলায় সোনিয়া ও রাহুল দু’জনে ১৪২ কোটি টাকার অবৈধ আর্থ লাভ করেছেন, যা ‘প্রোসিডস অফ ক্রাইম’০ বা অপরাধলব্ধ সম্পত্তির মধ্যে পড়ে।
অর্থ পাচারের অভিযোগ
ইডির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস.ভি. রাজু আদালতে বলেন, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী শুধু অপরাধের লাভ অর্জন করেননি, বরং সেটি ধরে রেখেও অর্থ পাচার করেছেন। নভেম্বর ২০২৩-এ ইডি জাতীয় হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পর এই অভিযোগ উঠেছে।
ইডি আরও দাবি করেছে, গান্ধীরা, সাম পিত্রোদা, সুমন দুবে ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচার’ করার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যা জাতীয় হেরাল্ড মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। আদালত এদিন ইডিকে আদেশ দিয়েছেন যে, তারা অভিযুক্ত সুব্রামনিয়ান স্বামীকে অভিযোগের কপি সরবরাহ করবেন।
জাতীয় হেরাল্ড কেলেঙ্কারি: কি ঘটেছিল?
জাতীয় হেরাল্ড মামলার প্রথম অভিযোগ ২০১২ সালে দায়ের হয়, তবে ইডি ২০১৪ সালে এই মামলায় তদন্ত শুরু করে। আদালত এই মামলা নথিভুক্ত করেছিল সুব্রামনিয়ান স্বামীর ২০১২ সালে দায়ের করা একটি ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে।
২০০৮ সালে AJL (অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড), যা জাতীয় হেরাল্ড পত্রিকা প্রকাশ করত, আর্থিক সংকটে পড়েছিল এবং পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। দুই বছর পরে, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেড (YIL) নামক কোম্পানির মাধ্যমে AJL-এর ৩৮ শতাংশ শেয়ার করে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। তবে, এই শেয়ার স্থানান্তর প্রক্রিয়া ছিল অনেকটাই বিতর্কিত, কারণ এটি জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রিবিউট (NCLT) বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির বাইরে ছিল।
এই প্রক্রিয়ায়, YIL AJL-এর ৯৯ শতাংশ শেয়ার অর্জন করে। AJL-এর ঋণ কংগ্রেস দল থেকে ৫০ লক্ষ টাকায় ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডের কাছে স্থানান্তরিত হয়, যা অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে।
এখন কি হতে পারে?
এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এখন অনেক আলোচনা হচ্ছে। আদালতের পরবর্তী নির্দেশে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীসহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা হতে পারে। রাজনৈতিকভাবে এ মামলার প্রভাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা মতামত রয়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশে বড় বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।
Bharat: The ED has formally accused Congress leaders Sonia Gandhi and Rahul Gandhi of illegal financial gains amounting to $142 crore in the National Herald corruption case. The Enforcement Directorate claims this sum constitutes “proceeds of crime.