বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) টুইট করে মহম্মদ ইউনুসকে শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকার রক্ষার পক্ষেও এইদিন তিনি ইউনুসকে দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানান। এখানেই শেষ নয়, ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক যেন আগের মতই মসৃণ থাকে সেই বিষয়েও তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন।
My best wishes to Professor Muhammad Yunus on the assumption of his new responsibilities. We hope for an early return to normalcy, ensuring the safety and protection of Hindus and all other minority communities. India remains committed to working with Bangladesh to fulfill the…
— Narendra Modi (@narendramodi) August 8, 2024
এইদিন তিনি এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘মহম্মদ ইউনুসকে তাঁর নতুন দায়িত্বের জন্য আমার শুভকামনা জানাচ্ছি। আমাদের আশা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে এবং হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দুই দেশের জনসাধারণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে বদ্ধপরিকর ভারত।’
ড. ইউনূসের শপথে নেই ভারত! বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার থেকে দূরত্ব?
ইউনুসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা বা উপদেষ্টা মণ্ডলী তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন দুই ছাত্রও। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়। নতুন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। রয়েছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদিপ চাকমা। রয়েছেন ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ, ফারুকী আযম।
নবীন এবং প্রবীনের সমন্বয় দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল মঞ্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ এবং সজীব। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁরাও। দু’জনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।