গো মাতার আরাধনা করুন এমনই বার্তা পাঠিয়েছিলেন হিন্দু ধর্মগুরু শঙ্করাচার্য। তাঁর বার্তা পাত্তা পেল না NDA সরকারের কাছে। বিজেপি নেতৃত্বের এনডিএ সরকারই গো মহোৎসব (Gau Mahasabha) বাতিল করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ জ্যোর্তিমঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
এনডিএ সরকারের প্রধান শরিক বিজেপি বরাবর গো পূজায় জোর দিয়েছে। তবে শরিকি চাপে তাদের অবস্থান কেন্দ্রে যেমন নড়বড়ে তেমনই নাগাল্যান্ডেও। এ রাজ্যের এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে গো মাংস খাওয়ার চলন আছে। কিছুতেই সেই খাদ্যাভাসে আঘাত করা যাবে না। তাই গো মহোৎসব হবে না।
খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগাল্যান্ডে বেশিরভাগ জনসংখ্যাই গরুর মাংস খায়। সরকারী মুখপাত্র এবং মন্ত্রী সি এল জন সাংবাদিকদের বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিওর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গো মহোৎসব কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন,মন্ত্রিসভা সংবিধানের 371A অনুচ্ছেদের অধীনে নাগাদের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশীলনের পাশাপাশি নাগা প্রথাগত আইন ও পদ্ধতির উপর প্রদত্ত সুরক্ষা বজায় রাখবে।
অভিযোগ, দেশের অন্যত্র গো রক্ষার নামে ভিন্নধর্মীদের উপর হামলা ও খুন সংঘটিত হয়। আরও অভিযোগ, মোদীর শাসনে গো রক্ষার নামে হিন্দুত্ববাদীরা হামলায় জড়িত। তবে নাগাল্যান্ডে বিজেপি গো রক্ষার নাম মুখে আনে না।
নাগাল্যান্ডে ক্ষমতাসীন ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি), তার মিত্র বিজেপির পাশাপাশি নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) এবং নাগা মাদারস অ্যাসোসিয়েশন এবং নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশনের মতো সংগঠনগুলি একযোগে গো মহোৎসব অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বেঞ্জামিন ইয়েপথোমি একটি বিবৃতিতে বলেছেন। নাগাল্যান্ডের সামাজিক-ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোর প্রেক্ষাপটে এই সমস্যাটির সমাধান করা অপরিহার্য।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এনডিপিপি ও বিজেপির সঙ্গে অন্যান্য দলগুলি মিলে জোট সরকার গড়েছে। বিধানসভায় কোনো বিরোধী দল নেই।