Myanmar Civil War: ধরলেই বর্মী সেনাদের গলা কাটবে গণতন্ত্রী বিদ্রোহীরা তবুও ফেরত পাঠাল ভারত

মিজোরাম সীমান্ত থেকে মায়ানমারের দিকে পাঠানোর সময় বর্মী সেনাদের মুখ চোখে ছিল ভয়। তারা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে থাকলেও প্রতিমুহূর্তে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে পড়লে গলা কাটার…

মিজোরাম সীমান্ত থেকে মায়ানমারের দিকে পাঠানোর সময় বর্মী সেনাদের মুখ চোখে ছিল ভয়। তারা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে থাকলেও প্রতিমুহূর্তে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে পড়লে গলা কাটার ভয়ে কাঁপছিল। পিটিআই জানাচ্ছে, মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ (Myanmar Civil War) পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে সে দেশ থেকে ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলিতে পালিয়ে আসছে বর্মী সেনারা। তেমনই ৪০ জনকে মিজোরাম থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মায়ানমারে সামরিক শাসন চলছে। তবে সেনা সরকার বিরোধী একাধিক গোষ্ঠীর হামলাও চলছে। দেশটির বড় অংশে এখন সেনা সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির কাছে মার খেয়ে পালানো বর্মী সেনারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে ঢুকছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের নির্বাচনে জয়ী সু কি নেতৃত্বের সরকার শপথ নেওয়ার আগেই রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে নেয় বর্মী সেনা। তখন থেকে নোবেল জয়ী নেত্রী সু কি বন্দি। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতন্ত্র রক্ষায় বর্মী জনগণের গণআন্দোলন দমাতে গণহত্যা করায় অভিযুক্ত সেনা। আবার একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষ চলছে সামরিক সরকারের। সেই সংঘর্ষের রেশ ধরে গত কয়েকদিনে মায়ানমার ও চিনের (China) সীমান্ত এলাকা হাতছাড়া হয়েছে সামরিক সরকারের।

পিটিআই জানাচ্ছে, এবার ভারত লাগোয়া মায়ানমারের সীমান্ত চিন রাজ্য (Chin State) থেকে সরকারি সেনা পিছতে শুরু করেছে। পলাতক কয়েকজন বর্মী সেনা ভারতের দিকে মিজোরামে ঢুকে পড়ে। মিজোরাম সরকার জানিয়েছে সোমবার স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠী মায়ানমারের অন্তর্গত চিন রাজ্যের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর 43 জন বর্ণনা সীমান্ত পেরিয়ে চাম্পাই জেলার জোখাওথারে পুলিশের কাছে যায়। তাদের নজরবন্দি করা হয়।

মিজোরাম সরকার জানায় অন্তত ৪০ জনকে মঙ্গলবার মায়ানমারের সামরিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার থেকে বর্মী সেনা এবং গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধের পর প্রায় 2,500 থেকে 5,000 মানুষ মিজোরামে পালিয়ে এসেছেন।