Tripura: গরু চোর সন্দেহে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন গেরুয়া রাজ্যে

ফের যেন ফিরে এল উত্তরপ্রদেশের দাদরির ঘটনা। গরু চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হল ত্রিপুরার (Tripura) যাত্রাপুর থানার তারাপুকুর এলাকায়। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ঘটনার…

Tripura: গরু চোর সন্দেহে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন গেরুয়া রাজ্যে

ফের যেন ফিরে এল উত্তরপ্রদেশের দাদরির ঘটনা। গরু চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হল ত্রিপুরার (Tripura) যাত্রাপুর থানার তারাপুকুর এলাকায়। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ঘটনার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করছেন মৃতের পরিজনেরা।

Tripura: গরু চোর সন্দেহে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন গেরুয়া রাজ্যে

জানা গিয়েছে যে ধনপুরের তারাপুকুর এলাকার বাসিন্দা জামাল মিঞার ছেলে লিটন মিঞা। সোমবার রাতের দিকে লিটনকে ফোন করে ডাকে সেন্টু দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি। তারপর থেকে লিটনের কোনও খবর পায়নি পরিবার। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মারফত জামাল মিঞার পরিবার জানতে পারে যে কাঠালিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে লিটন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে সোমবার রাতের দিকে বড়মুড়া এলাকা থেকে যাত্রাপুর থানায় খবর আসে যে গরু চুরি করতে আসায় এক যুবককে আটক করেছে এলাকার লোকজন। সেই আক্রান্ত ছেলে তথা গরু চোরের অপবাদে অভিযুক্ত ছেলেটিই লিটন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যাত্রাপুর থানার পুলিশ। আহত লিটন মিয়া কে উদ্ধার করে কাঠালিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। সকালে লিটন মিয়ার পরিবারকে পুলিশ খবর দেয় হাসপাতলে আসার জন্য।

গনপিটুনির চোটে রাত থেকেই লিটন মিঞার অবস্থা ছিল শোচনীয়। ক্রমশ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে লিটনকে রাজধানী আগরতলার জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লিটন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আপাতত মেলাঘ্র হাসপাতালে রয়েছে লিটনের নিথর মরদেহ।

Advertisements

লিটন মিঞার বিরুদ্ধে ওঠা গরু চুরির চেষ্টার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তাঁর পরিবার। তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে লিটন গরু চুরি করতে যায়নি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

<

p style=”text-align: justify;”>এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে ধনপুর বাজারে লিটন মিয়ার পরিবার এবং এলাকাবাসীরা রাস্তা অবরোধে নামে। পরবর্তী সময়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বনোজ বিপ্লব দাস ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত সেন্টু দেবনাথকে গ্রেফতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় মৃতের পরিজনেরা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা তারাপুকুর এলাকায়।