MP: গোষ্ঠী সংঘর্ষে নাকি থানায় ‘খুন’ সংখ্যালঘু ব্যক্তির, বিতর্ক বাড়ছে

রামনবমী উপলক্ষে ১০ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশে খরগোনে রামভক্তদের মিছিল বেরিয়েছিল। সেই মিছিল থেকে ছড়িয়েছিল অশান্তি যা পরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে পরিণত হয়। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হলো এক…

Khargone Madhya Pradesh

রামনবমী উপলক্ষে ১০ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশে খরগোনে রামভক্তদের মিছিল বেরিয়েছিল। সেই মিছিল থেকে ছড়িয়েছিল অশান্তি যা পরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে পরিণত হয়। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। মৃতের নাম ইবারিশ খান। তাঁর পরিবারের লোকজন ইন্দোরের এমওয়াই হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ইবারিশের দেহ শনাক্ত করেন।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রথম থেকেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সে কারণেই ঘটনাস্থল থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ইবারিশের দেহ। যদিও পুলিশের দাবি, খরগোনে কোনও মর্গ নেই। সে কারণেই ইবারিশের দেহ ইন্দোরে আনা হয়েছিল।

১০ এপ্রিল থেকে ৩০ বছরের ইবারিশের কোনও খোঁজ মিলছিল না। ইবারিশের পরিবার ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নিজেরাও খুঁজতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আর ইবারিশকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেল না।

খরগোনের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর রোহিত কাশওয়ানি জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল রাতে খরগোনে ৭-৮ জন লোক ইবারিশকে খুন করে। পরেরদিন খরগোনের আনন্দনগর এলাকা থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃতের মাথায় ভারি আঘাতের চিহ্ন ছিল। খরগোনে মর্গ না থাকার কারণেই ইবারিশের দেহ ইন্দোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইন্দোরে গিয়ে রবিবার রাতে বাড়ির লোকজন তাঁর দেহ শনাক্ত করে। ঘটনার ৪ দিন পর অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ইবারিশের দেহ শনাক্ত হওয়ার পর সেটি তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে ইবারিশের দেহ খরগোনে নিয়ে আসা হয়।

ইবারিশ স্থানীয় পুরসভার কর্মী ছিলেন তিনি স্ত্রী ও এক ছোট সন্তানকে রেখে গিয়েছেন। মৃতের ভাই ইকলাখ খান অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দিন তাঁর দাদা স্থানীয় মসজিদে ইফতারের আয়োজন করতে গিয়েছিলেন। সে সময় পুলিশ এবং স্থানীয় কিছু লোকজন ইবারিশকে পিটিয়ে খুন করে। ১০ এপ্রিল সন্ধ্যার সময় খরগোন থানার লকআপে তাঁর দাদাকে দেখা গিয়েছিল।

ইকলাখের আরও দাবি, আনন্দনগর এলাকার লোকজন তাঁর দাদার উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। তাঁর মাথায় ভারি কোন পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। পুলিশ প্রথম থেকেই এই মৃত্যুর ঘটনা চেপে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরার হুমকি দিলে তখন পুলিশ ইবারিশের মৃত্যুর কথা জানায়। পুলিশ লকআপে ইবারিশের উপর চরম অত্যাচার করেছিল বলে ইকলাখের দাবি।