নয়াদিল্লি: গাজা সংঘাতের দীর্ঘ দুই বছরের অন্ধকার অধ্যায়ের পর শান্তির সূক্ষ্ম আলো দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল ও হামাস গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে, যেখানে হোস্টেজ এবং বন্দিদের মুক্তি-সহ মানবিক সহায়তা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, এটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী আশা প্রকাশ করেছেন, এই পদক্ষেপ গাজার সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বন্দিমুক্তিতে সায়
ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল ও হামাস হোস্টেজ এবং প্যালেস্টাইনীয় বন্দিদের বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এক কয়েক ঘণ্টা পরেই ঘটনাটে ঘটে৷ এই বিনিময় প্রক্রিয়ায় সমস্ত জীবিত ইসরায়েলি হোস্টেজ প্রায় ২,০০০ প্যালেস্টাইনীয় বন্দির সঙ্গে বিনিময় করা হবে এবং সেই চুক্তি বাস্তবায়নের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশিয়ালে বলেন, “আমি অত্যন্ত গর্বিত যে ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে সমস্ত হোস্টেজ খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে এবং ইসরায়েল তাদের সেনারা নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাহার করবে। এটি একটি শক্তিশালী, স্থায়ী ও চিরস্থায়ী শান্তির প্রথম ধাপ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটি আরব ও মুসলিম বিশ্বের, ইসরায়েল, আশেপাশের সব দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বিশেষ দিন। কাতার, মিশর এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের আমরা ধন্যবাদ জানাই, যারা এই ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটনা সম্ভব করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। শান্তিকারীরাই ধন্য।”
হামাসের আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকীর পরদিনই ঘোষণা Modi Welcomes Gaza Peace Deal
হামাসের আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকীর ঠিক পরদিনই চুক্তি ঘোষণা৷ মিশরে অনুষ্ঠিত পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে।
আলোচনায় মার্কিন পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন জারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, আর ইসরায়েলকে প্রতিনিধি করেছিলেন রন ডারমার, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তি গাজা সংঘাত সমাধান এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন দিক উন্মোচন করবে, যেখানে কেবল কূটনৈতিক সংলাপ নয়, মানবিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব থাকবে।