উন্নয়নে সাহায্য না করলে ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, মোদীকে হুঁশিয়ারি চন্দ্রশেখর রাওয়ের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। শনিবার এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে কেসিআর বলেন, বিজেপি…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। শনিবার এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে কেসিআর বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার রাজ্যের উন্নয়নে যদি যথাযথ সাহায্য না করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে।

জনগাঁও জেলার যশবন্তপুরে এক জনসভায় কেসিআর বলেন, সময় হয়েছে দিল্লির কুর্সি থেকে মোদিকে হঠানোর। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এদিন মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, আপনারা আমাদের কোনও জাতীয় প্রকল্প দিচ্ছেন না। আমাদের এখানে প্রয়োজনীয় মেডিকেল কলেজ তৈরির অনুমোদন দিচ্ছেন না। আপনারা যদি এভাবে রাজ্যের সঙ্গে সব ধরনের অসহযোগিতা করেন তবে আমরা আপনাকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেব। আমরা দিল্লিতে এমন সরকার আনব সব রাজ্যকে তাদের চাহিদা মত সাহায্য করবে।

একইসঙ্গে কেন্দ্রকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সরকার তেলেঙ্গানায় মোদী সরকারের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন না। কারণ মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত রূপায়িত হলে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে। মোদীকে কার্যত হুমকি দিয়ে কেসিআর বলেন, জনগণ যদি চায় তবে আমি আপনার দিল্লির দূর্গ দখলে এগিয়ে যাব।

২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সেই প্রতিশ্রুতিকে তীব্র কটাক্ষ করে কেসিআর বলেছেন, কৃষকদের আয় কোথায় গিয়েছে সেটা সকলেই জানে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চেষ্টায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় সার ও জ্বালানির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছু ব্যক্তি ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ না করে নিরাপদে বিদেশে বসে আছেন। ওই ঋণখেলাপিদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে মোদী সরকারের কোনও ভূমিকাই নেই। মোদি সরকার চরম জনবিরোধী। এই সরকার কৃষকদের পকেট কাটছে, শ্রমিকদের পকেট কাটছে। সেই টাকা মোদী নিজের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতির পকেটে পুরে দিচ্ছেন। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। সময় হয়েছে এবার মোদিকে আমরা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেব।