Mahapanchyat: কৃষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন মোদী: টিকায়েত

News Desk, New Delhi: পাঁচ দিন হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর আচরণে…

Rakesh Tikait

News Desk, New Delhi: পাঁচ দিন হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর আচরণে আদৌ খুশি নন কৃষক নেতা টিকায়েত (Rakesh Tikayat)। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের মধ্যে বিভাজন (divison) তৈরি করতে চাইছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সোমবার উত্তর প্রদেশের (Utter Pradesh) রাজধানী লখনউয়ে ছিল কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত (Mahapanchyat)। সেখানে একদফা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন টিকায়েত। মহা পঞ্চায়েতের পর ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন এই প্রবীণ কৃষক নেতা।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, মোদী সরকারের তৈরি তিন কৃষি আইন যে গরিব মানুষ, কৃষক, মজুর কারও জন্যই সুখকর নয় সেটা বোঝাতে এক বছর সময় লাগলো। আসলে আমরা আমাদের সহজ-সরল ভাষায় বিষয়টি বোঝাতে চাইছিলাম। কিন্তু দিল্লির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাংলোয় বসে সরকারি কর্মকর্তারা সেটা বুঝতে পারছিলেন না। সরকার শেষ পর্যন্ত আইন প্রত্যাহারের কথা বলেছে ঠিকই, কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করতে চাইছেন। সে কারণেই সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী বলছেন, কৃষি আইনের সুফল তাঁরা সব কৃষককে বুঝিয়ে উঠতে পারেনি।

Rakesh Tikait

টিকায়েত আরও বলেন, তিন কৃষি আইন বাতিল ছাড়াও তাঁদের আরও কয়েকটি দাবি আছে। সেগুলি নিয়েও সরকারকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। ২০১১ সালে মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেসময় তিনি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দাবির পক্ষে ছিলেন। এমনকী, এ বিষয়ে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে সুপারিশও করেছিলেন। তিনি মনমোহনকে স্পষ্ট বলেছিলেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে নিজের সেই সুপারিশের কথা ভুললে চলবে না। মোদী যাতে তাঁর নিজের করা সুপারিশটি মেনে নেন সেজন্য তাঁরা পথেই থাকবেন।

সাধারণত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির কট্টর সমালোচক বলেই পরিচিত টিকায়েত। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। টিকায়েত সেখানেও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালালে গেরুয়া দল যে নিশ্চিতভাবেই সমস্যায় পড়বে তা বলাই বাহুল্য। সে কারণেই টিকায়েতের এই নতুন হুমকিতে বিজেপি যথেষ্টই দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটলে টিকায়েতের আর তেমন কোনও গুরুত্ব থাকবে না। সে কারণেই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাইছেন।