সবকা সাথ সবকা বিকাশ মডেলে চলছে দেশ, হিমাচল প্রদেশের জনসভায় দাবি মোদীর

প্রতিবেদন, ২০২২-এর শেষ দিকে হিমাচল প্রদেশ (himachal pradesh) বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সলতে পাকানোর কাজটি এখন থেকেই শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী…

Modi demands at public meeting in Himachal Pradesh

প্রতিবেদন, ২০২২-এর শেষ দিকে হিমাচল প্রদেশ (himachal pradesh) বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সলতে পাকানোর কাজটি এখন থেকেই শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ( narendra modi)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পগুলির জন্য ব্যয় হচ্ছে ২৮ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।

এদিনই রাজ্যের জয়রাম (jairam thakur) ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের চার বছর পূর্তি হল। সরকারের ৪ বছর পূর্তিতে এই প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করেন মোদি। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নিজেদের জেলা মান্ডিতে (mandi) একটি মিছিলেও অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই মিছিল শেষে এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন মান্ডিতে একটি ১১ হাজার কোটি টাকার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের দুটি মডেল হয়। একটি হল ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। আর একটা হল ‘খুদ কা স্বার্থ পরিবার কী স্বার্থ’। তাঁর সরকার প্রথম মডেলটি অনুসরণ করে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে মোদী যে কংগ্রেসকেই কটাক্ষ করেছেন সেটা রাজনৈতিক মহলের কাছে স্পষ্ট।

প্রধানমন্ত্রী এদিন এই পাহাড়ি রাজ্যের বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন, পাহাড়কে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। প্লাস্টিকের জন্যই পাহাড়ের পরিবেশের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন সাওরা-কুদ্দু জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ১১১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন রেনুকাজি বাঁধ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই বাঁধের ফলে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, দিল্লিতে সেচের সুবিধা হবে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেমন ঘনঘন ওই রাজ্যগুলিতে সফরে যাচ্ছেন, তেমনই এবার তাঁর হিমাচল প্রদেশের আসাও বাড়তে চলেছে। কারণ ২০২২- এর একেবারে শেষ দিকে এই পার্বত্য রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী চান না, এই পাহাড়ি রাজ্যটি বিজেপির হাতছাড়া হোক। যদিও কিছুদিন আগে এ রাজ্যের কয়েকটি বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে বিজেপি অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে। সে কারণে আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই সেই ক্ষত মেরামতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।