Meghalaya: জনতার হামলায় ‘বন্দি’ মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, একাধিক রক্ষী জখম

মেঘালয়ের (Meghalaya) মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার (Conrad Sangma) কার্যালয়ে জনতার হামলা। গরম হয়ে গেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাখেন। হামলায় পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী আহত। তবে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা…

মেঘালয়ের (Meghalaya) মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার (Conrad Sangma) কার্যালয়ে জনতার হামলা। গরম হয়ে গেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাখেন। হামলায় পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী আহত। তবে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা অক্ষত। তিনি এখনও তুরা শহকে তার অফিসের ভিতর কার্যত বন্দি শত শত লোক কম্পাউন্ডটি ঘিরে রেখেছে।

গারো পাহাড়ভিত্তিক দলগুলো তুরায় শীতকালীন রাজধানী স্থাপনের দাবিতে অনশন করছে। আজ সন্ধ্যায় বিপত্তি শুরু হয় যখন মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে পাথর ছুড়তে শুরু করে। হামলায় পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত নিরাপত্তা কর্মীদের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সাংমা নিরাপদে থাকলেও তিনি অফিস থেকে বের হতে পারছেন না কারণ বিক্ষোভকারীরা প্রবেশের রাস্তা অবরোধ করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা মেঘালয়ের শীতকালীন রাজধানী হিসাবে তুরাকে মনোনীত করা এবং ৫১ বছর বয়সী চাকরি সংরক্ষণ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশদ আলোচনার জন্য আমন্ত্রিত কিছু স্থানীয় সংস্থার নেতাদের সাথে বৈঠক করছিলেন।

সেই বৈঠক চলাকালীন শত শত জনতা সিএমওর বাইরে জড়ো হয়ে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। ভবনের কিছু জানালার কাঁচ ভেঙে গেলে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সাংমা বলেছেন ‘আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। আজ যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। যারা প্ররোচিত করেছে তাদের সম্পূর্ণ ভিডিও রেকর্ডিং আছে। আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতা লাবেন চ বলেছেন সিএমওর বাইরে জড়ো হওয়া আগ্রাসী জনতা তাদের আন্দোলনের অংশ নয়। গত কয়েকদিন ধরে আমরা শান্তিপূর্ণ অনশনের আয়োজন করে আসছি। স্লোগান দেওয়া এবং পাথর ছোড়া শুরু যারা করেছে তাদের আগে কখনও দেখিনি।