বিজেপিকে সমর্থন তৃণমূলের জোটসঙ্গীর

দেড় বছর ধরে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিচ্ছে তৃণমূল। সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করে করে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে ঘাস ফুল। সেই একই স্লোগান নিয়ে…

দেড় বছর ধরে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিচ্ছে তৃণমূল। সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করে করে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে ঘাস ফুল। সেই একই স্লোগান নিয়ে অন্য রাজ্যেও গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু বাংলার বাইরে রাজনৈতিক খেলার উলটো ফল পেল তৃণমূল। জোট বেঁধে লড়াই করা দলের জয়ী বিধায়কেরা যোগ দিচ্ছেন পদ্ম শিবিরে।

মূলত বিজেপি বিরোধিতার লক্ষ্যেই বাংলার বাইরে যাওয়া শুরু করে তৃণমূল। এমনই দাবি করেছিল ঘাস ফুলের নেতারা। ত্রিপুরার মাটিতে পুরভোটে পরাস্ত হলেও গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে বিশেষ আশাবাদী ছিলেন ঘাস ফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠনের কোথাও ভাবতে শুরু করে তৃণমূল। কিন্তু ভোট গণনার দিন দেখা গেল ভিন্ন ছবি।

গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে বিজেপি। এমনই ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে গণনার শুরু থেকেই। তৃণমূল খাতা খুলতে না পারলেও জোট শরিক ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’ দুই আসনে জিতেছে। সেই দলের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠনের দাবি করল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতার মুখে শোনা গেল সেই সুর। ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’-র পক্ষ থেকেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি বিজেপির।

এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। প্রমোদ সাওয়ান্ত দাবি করেছেন, প্রয়োজন হলে আঞ্চলিক দল ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’ ও নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে বিজেপি। তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব জোটে রয়েছে ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, “গোয়ার মানুষ আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছেন। ম্যাজিক ফিগার আমরা পার করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরে ভরসা রেখেছেন মানুষ। নির্দল প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’-ও আমাদের সমর্থন করবে। আমরা একত্রে সরকার পরিচালনা করব।”