Meghalaya: অসম রক্ষীদের গুলিতে মেঘালয়ের গ্রামবাসীদের ‘ঠাণ্ডা মাথায় খুন’? চেরি উৎসব বন্ধ

বারবার (Assam) অসমের পড়শি রাজ্যগুলির সীমানায় গুলি চলছে। বারবার বিতর্কে জড়াচ্ছেন বিজেপি শাসিত অসমের মু়খ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এবার সীমানা সংলগ্ন মেঘালয়ের (Meghalaya) গ্রামে গণহত্যার অভিযোগ…

বারবার (Assam) অসমের পড়শি রাজ্যগুলির সীমানায় গুলি চলছে। বারবার বিতর্কে জড়াচ্ছেন বিজেপি শাসিত অসমের মু়খ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এবার সীমানা সংলগ্ন মেঘালয়ের (Meghalaya) গ্রামে গণহত্যার অভিযোগ উঠল।

এ ঠাণ্ডা মাথায় খুন। এমনই অভিযোগ মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া জেলার মক্রু গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, অসমের বনরক্ষীরা ভালো করেই জানে রোজই বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে উনুন ধরানোর জন্য যান অনেকে। সব জেনে তাদের কাঠ পাচারকারী বলে গুলি চালানোর পিছনে ঠাণ্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মারাত্মক অভিযোগে প্রবল বিতর্কে অসমের বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

অভিযোগ, অসমের ক্ষমতায় হিমন্ত আসার পর পড়শি রাজ্যগুলির সাথে বিবাদ প্রবল আকার নিচ্ছে। ১৬ মাস অসম-মিজোরামের সীমানায় দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই ও মৃত্যু ছিল চরম বিতর্কিত। এবার অভিযোগ, মেঘালয়ের সীমান্তগ্রাম মক্রুতে গণহত্যা চালিয়েছে অসমের বনরক্ষীরা। এর আগে নাগাল্যান্ডে জঙ্গি সন্দেহে কয়লা খাদানের শ্রমিকদের গুলি করে মারায় অভিযুক্ত অসম রাইফেলস।

মঙ্গলবার কাঠ কুড়িয়ে একটি ভ্যান গাড়িতে করে গ্রামবাসীরা ফিরছিলেন। তাদের আটকায় অসমের বনরক্ষীরা। গ্রামবাসীদের চোরাকারবারী সন্দেহ করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গাড়ি থেকে নেমে গ্রামবাসীরা চিৎকার করেন। আসে পাশের গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন।আক্রান্ত হয় অসমের বনরক্ষীরা। এরপর আরও বনরক্ষীরা গুলি চালায় তারা। সংঘর্ষে মেঘালয়ের ৫ জন এবং অসমের ১ বন আধিকারিক নিহত বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ।

মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া জেলার মক্রু গ্রামে গুলিতে নিহতরা সবাই খাসি জনগোষ্ঠির। এর জেরে পুরো উত্তরপূর্ব ভারতে ছড়িয়ে থাকা খাসিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তীব্র ভাবাবেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর মেঘালয়ের রাজধানী শহর শিলং জুড়ে হিংসাত্মক পরিস্থিতি দেখা যায়। অসমের নম্বর প্লেট দেওয়া গাড়িতে আগুন ধরানো হয়।

মঙ্গলবার থেকেই বন্ধ অসম-মেঘাল়য আন্তরাজ্য সড়ক সংযোগ। গুয়াহাটি ও শিলংয়ের মধ্যে গাড়ি যাতায়াত বন্ধ থাকায় বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। মেঘালয়ের মু়খ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে সাত দিন বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। তেমনই বন্ধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যটন উৎসব ‘চেরি ব্লসম’।

মরশুমের এই সময়ে চেরি ফুলে ভরে যায় মেঘালয়ের বিস্তির্ণ এলাকা। অপূর্ব সেই দৃশ্য দেখতে বহু পর্যটক আসেন। তবে রক্তাক্ত পরিস্থিতির পর আপাতত সব বন্ধ। অসমের বনরক্ষীদের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছে মেঘালয় সরকার।