Manish Sisodia: মনীশ গ্রেফতার হলেও পার্থর মতো দল থেকে ছাঁটতে নারাজ আপ

২৩ জুলাই ২০২২৷ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)

Manish Sisodia

২৩ জুলাই ২০২২৷ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)৷ মোদি জমানায় ইডি ও সিবিআইয়ের তৎপরতা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলেছে আম আদমি পার্টি। বিরোধী শিবিরেও এই বিষয়ে জোর চর্চা চলছে৷ কিন্তু পার্থর মতো বিশ্বস্ত মনীশকে ছেঁটে ফেলতে রাজি নয় কেজরি।

বরং আপের তরফে এদিন জানানো হল আমরা আগেই জানতাম মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হবে৷ কারণ, সিবিআই কেন্দ্রের কাছে মাথানত করেছে। তদন্তকারী সংস্থা যেভাবে কাজ করতে তা ভীষণ দুঃখের। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মিলবে না৷ আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, একনায়কতন্ত্রের চুড়ান্ত পর্যায় চলছে৷ আপনি এক ভালো মানুষ এবং ভালো শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে মোটেই ভালো কাজ করলেন না মোদিজি। একদিন আপনার একনায়কতন্ত্রের অবসান হবেই৷

আপের প্রথম দিন থেকেই অরবিন্দের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে একজন ছিলেন মনীশ৷ মনীশ সিসোদিয়ার আমলে দিল্লির শিক্ষাক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন হয়৷ সরকারি স্কুলগুলির উন্নত পরিকাঠামো দেখে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হয়েছিল৷ এমনকি পঠনপাঠনে দেশজুড়ে নজির গড়েছিল দিল্লি৷ সেই মনীশ সিসোদিয়া গ্রেফতারের আগে জানালেন, আমি চাই ছোট খুব মন দিয়ে পড়াশুনা করুক৷ মনীশের গ্রেফতারিতে বিন্দুমাত্র মুষড়ে পড়েনি আপ। বরং মনীশের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন অরবিন্দ৷

অন্যদিকে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা করেই তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন৷ কিন্তু চাকরি দেওয়ার নাম করে যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে, তা দেখে তাজ্জব দলের কর্মীরাই। পার্থর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা আদালতের কাছে যথাযোগ্য প্রমাণ দিয়ে নিজেকে বেকসুর প্রমাণ করতে পারলে তবেই জায়গা হবে দলে। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে পার্থকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিলেও এখনও মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তৃণমূল। বহাল তবিয়তে শাসক দলের বিধায়ক পদে রয়েছেন তিনি। এমনকি অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, শাহিদ ইমামদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্যের শাসক দল৷ যা নিয়ে বিরোধীদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। আবার এত কিছুর মধ্যে দলীয় নেতৃত্বকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন মদন মিত্র৷

শিক্ষাক্ষেত্রে দিল্লির উন্নতি দেখে বিশ্বজুড়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, আবার পার্থর কারনামা দেখে বিচারপতিকে বলতে শোনা গেছে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন শাসক দলের নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। তাতে করে মনীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারের আঁচ বাংলাতেও পড়বে। এমনটাই ইঙ্গিত রাজনৈতিক মহলের৷