Manipur Violence: বিজেপি শাসিত মণিপুরে অসহায় পুলিশ-সেনা, বিপুল সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই

জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুর ফের অশান্ত। পুরো রাজ্য জুড়ে (Manipur Violence) চলছে একটার পর একটা থানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লু়ঠ। যুযুধান দুই জনগোষ্ঠি মেইতেই ও কুকিরা…

kuki mikitant attacked in manipur village

জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুর ফের অশান্ত। পুরো রাজ্য জুড়ে (Manipur Violence) চলছে একটার পর একটা থানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লু়ঠ। যুযুধান দুই জনগোষ্ঠি মেইতেই ও কুকিরা যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে চালিয়েছে সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র। কত বন্দুক, কত হাজার গুলি লুঠ করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সরকারি কর্মীদের ইঙ্গিত পুলিশের এত আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ হওয়ার নজির অন্য কোনও রাজ্যে নেই।

ইম্ফলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর অসহায় পরিস্থিতি। তবে বিভিন্ন সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। India Today Ne জানাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, অস্ত্র ছিনতাই চলছে মণিপুরে।

   

রাজ্য পুলিশ জানায়, গুলিবর্ষণ এবং অশান্ত জনতার সমাবেশ দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার একটি ক্রস ফায়ারিংয়ের সময় একজন পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে মণিপুর পুলিশ  গত ২৪ ঘন্টয় রাজ্যের পরিস্থিতি “অস্থির এবং উত্তেজনাপূর্ণ গুলিবর্ষণের ঘটনা এবং অশান্ত জনতার জমায়েত” হিসাবে বর্ণনা করেছে।” 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের কাউতরুক, হারাওথেল এবং সেনজাম চিরাং এলাকায় ক্রস ফায়ারিংয়ের ঘটনায় একজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। আরও একজন গুলিবিদ্ধ।

রাজ্য জুড়ে নতুন সংঘর্ষ শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে, মণিপুরের জাতিগত সংঘর্ষে নিহত কুকি-জোমি গোষ্ঠীর গণকবর  স্থগিত করা হয়। হাইকোর্ট চুরাচাঁদপুর জেলার প্রস্তাবিত সমাধিস্থলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। সেই থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সামলে পড়েছেন সেনা জওয়ানরা। এর পর  জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুঁড়তে থাকে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনতাই শুরু হয়। বিবৃতির মাধ্যমে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক ফেরত দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।