প্রাকৃতিক ভৌগোলিক প্রতিকুলতার সঙ্গে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের তীব্র লড়াই চলেছে। ভবিষ্যতে সেই লড়াইয়ের এক উদাহরণ হয়ে যাবে দুনিয়ার সর্বোচ্চ রেলসেতু। মনিপুরে নির্মীয়মান এই সেতু থেকে যাবে বহু শ্রমিক ও টেরিটোরিয়াল আর্মি জওয়ানদের মৃত্যুর নীরব সাক্ষী (Manipur Noney Tragedy) হয়ে। বিখ্যাত নোনে সেতুর ইতিহাসে লেখা থাকবে প্রকৃতির রুদ্র রূপের কথা।
মনিপুরের নোনে জেলার টুপুলে উত্তর পূর্ব রেলের জিরিবাম-টুপুল-ইম্ফল-ইম্ফল বিভাগের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ টুপুল স্টেশনের কাছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু নির্মাণ কাজ চলছে। ১৪১ মিটার উঁচু এই সেতু জটিল পার্বত্য খাঁজ বরাবর বানানো হচ্ছে। এটি টেক্কা দিয়েছে উচ্চতায় ইউরোপের মন্টেনেগ্রো দেশের ১৩৯ মিটার উঁচু রেলসেতুকে।
উত্তর পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ইজাই নদীর উপর এই সেতু তৈরির কাজ করছে টেরিটোরিয়াল আর্মি। স্থানীয় কিছু শ্রমিকরা আছেন। কাজ চলছিল নিজ গতিতে। বুধবার রাত থেকে পরিস্থিতি বদলে গেছে। টানা অতিবৃষ্টির কারণে টুপুল স্টেশনের কাছে মাটি ও পাথরের ধস নামে। এর পর এলাকাটি মৃত্যুপুরী। ধস সরিয়ে চলছে উদ্ধার।
পিটিআই জানাচ্ছে বুধবার রাত থেকে ধসের তলায় চাপা পড়েছেন কর্মরত শ্রমিক ও টেরিটোরিয়াল আর্মি জওয়ানরা। নিহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
Assam Tribune জানাচ্ছে, ভয়াবহ পরিস্থিতি। মনিপুরের নোনে জেলার টুপুল রেল স্টেশনের কাছে মাটি পাথরের ধসের তলায় ঠিক কতজন শ্রমিক ও টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান আছে তার সঠিক হিসেব নেই। টানা ৪৮ ঘণ্টা তারা ধসের তলায় চাপা পড়ে আছেন। দুর্ঘটনাস্থলে আছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। কমপক্ষে ৬৫ জন মৃত বলে খবর আসছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা।
NE Live জানাচ্ছে, টুপুল রেল স্টেশনের কাছে ধস সরানোর কাজ চলছে। সেনা বাহিনী নেমেছে উদ্ধারে। ধসের তলা থেকে পরপর মৃতদেহ বের করে আনা হচ্ছে। ১৩টি দেহ উদ্ধার করা গেলেও নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। কয়েকজন জওয়ানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
East Mojo জানাচ্ছে, বুধবার রাতে অতি বৃষ্টির কারণে মনিপুরের নোনে জেলার টুপুলে ধস নামে। এখানেই উত্তর পূর্ব রেলের জিরিবাম-টুপুল-ইম্ফল-ইম্ফল বিভাগের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ টুপুল স্টেশনের কাছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু নির্মাণ কাজ চলছিল।
রেল সূত্রে খবর, ইজাই নদীর উপর এই সেতু তৈরির কাজে নামে টেরিটোরিয়াল আর্মি। জানা যাচ্ছে স্থানীয় কিছু শ্রমিকও ছিলেন এই কাজে। ধস নামার পর শ্রমিক ও জওয়ানরা চাপা পড়ে যান। টানা ৪৮ ঘণ্টা পর তাদের সবাইকে উদ্ধার করা যায়নি। সময় যত পার হচ্ছে ততই বাড়ছে চাপা পড়া শ্রমিক ও জওয়ানদের মৃত্যুর সংখ্যা। সেনাবহিনী ও অসম রাইফেলসের জওয়ানরা ধস সরিয়ে উদ্ধারে নেমেছেন। মনিপুর সরকারের তরফে নেমেছে উদ্ধারকারী দল।