নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সীমান্ত শহর মোরে-তে প্রবল সংঘর্ষ। গতকাল রাতে সাময়িক বিরতির পর সোমবার সকালে আবার হামলা শুরু হয়। সীমান্ত শহরের বহু বাসিন্দা সংঘর্ষের মাঝে পড়ে অসহায়। তারা রাস্তায় বসে আছেন। কানের পাশ দিয়ে গুলি ছুটছে। বিজেপি শাসিত মণিপুরের (Manipur) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ভেঙেই পড়েছে।
মণিপুর থেকেই ১৪ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো নয়া যাত্রা’ শুরু হবে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই সফরসূচি ও রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস। জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত ছিল মণিপুর। এবার লাগাতার জঙ্গি হামলা চলছে।
মায়ানমারের সীমান্তে থাকা মণিপুরের টেংনৌপল জেলার মোরে শহরে থাকা অসম রাইফেলস ও রাজ্য পুলিশ কমান্ডোদের সাথে লাগাতার কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষ চলে বড়দিনের আগে থেকে। নতুন বছরের প্রথম দিন ছিল তীব্র সংঘাতময়। এই হামলার মাঝে রাজ্যের থৌবল জেলায় একটি হাটে দুষ্কৃতি হামলায় চার জনের মৃত্যু হয়। তবে মোরে শহরে জঙ্গি হামলা চলছেই। এই শহরটির অন্য পাশে মায়ানমারের টামু শহর।
সোমবার মোরে শহরের ৮ নং ওয়ার্ডে গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনী টহল দেওয়ার সময় হামলা হয়। রবিবার জঙ্গিরা মোরে শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যারাকে বোমা হামলা করে। মোরে শহরটি নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে গোলাগুলির কারণে কেঁপে উঠেছে।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান,এই হামলায় মায়ানমারের দিক থেকে জঙ্গিরা ঢুকে হামলা করছে। সম্ভবত কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ-বি) মোরে হামলায় জড়িত থাকতে পারে।