বিশ্বের কিছু সংখ্যক মানুষ হিংস্র হয়ে উঠছে। বেড়ে চলেছে নৃশংসতা, খুনোখুনি, মারামারি, হিংসা, প্রতিশোধ, হত্যার মতন কার্যকলাপ। আর তারই আরেক নিদর্শন কর্নাটকের এক ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনার বিবরণ শুনলে গা শিহরিত হয়ে উঠবে।
স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে এক যুবকের গলার নলি কেটে ফেলল তার স্বামী। এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। গলা কেটে দেওয়ার পর সেই ফিনকি দিয়ে বেরোনো রক্ত পান করলেন সেই যুবক। ঘটনার বর্বরতা শুনে শিহরিত গোটা দেশ। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই আতঙ্কিত নেটাগরিকরা।
ঘটনাটি কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুরের। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে এক যুবক আরেকজনের গলা কেটে রক্তপান করছেন। গোটা ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দী করেন সেই যুবকের বন্ধু। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে যায়। এরপরই সেও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভুযুক্তের নাম বিজয়। জানা গিয়েছে, মারেশ বলে একজন কে বিজয় সন্দেহ করে তার স্ত্রী-এর সঙ্গে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সম্পর্ক রয়েছে। এরপর সন্দেহের বশেই মারেশের গলাই কোপ বসায় বিজয়। ১৯ জুন মারেশকে আশপাশের একটি জঙ্গলের নিয়ে যায় বিজয়। সেখানেই মারেশকে আক্রমণ করে বিজয়। বিজয়ের বন্ধু জন গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দী করেন।
আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর মারেশ সোজা থানায় গিয়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।