Mamata Meets Omar Abdullah: চলতি বছরের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৬ জন। তারপর থেকেই থমথমে ছিল জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জম্মু কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা। এবার সেই বার্তা নিয়েই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়েই বাঙালীদের আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এখন কাশ্মীরে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জঙ্গি হামলার পর থেকেই কাশ্মীরে যেতে নারাজ বাঙালীদের একাংশ। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসার। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটক ব্যবসায়ীরা। পর্যটন ব্যবসাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। বাঙালি পর্যটকদের আবার কাশ্মীর মুখো করতে তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করছেন ব্যাপক ছাড়ের। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সহ গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র থেকেই কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটকরা ঘুরতে যান। তাই দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীরমুখো করতে ব্যাপক ছাড়ের ঘোষণা ব্যবসায়ীদের। হোটেল, গাড়িতে লাগু করা হয়েছে এই বিশেষ ছাড়। পাশাপাশি কমেছে বিমানে যাওয়ার খরচও। পর্যটকদের জন্য এই বিশেষ ছাড় ঘোষণা করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে কাশ্মীর।
এ বিষয়ে বিধায়ক ফারুক আহমেদ শাহ বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অ্যাম্বাসেডর। আমাদের আলাদা করে আর কোনও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের প্রয়োজন হয় না। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলে দিয়েছে, ভারতের যে কোনও প্রান্তের পর্যটন মেলা-অনুষ্ঠান হোকে, সেখানে আমরা অংশ নেব। আমরা প্রমোশন-পাবলিসিটির ওপর এখন ভীষণভাবে জোর দিচ্ছি। বাংলার সঙ্গে আমাদের পুরনো সম্পর্ক। অধিকাংশ কাশ্মীরিদের সেকেন্ড হোম বাংলা। আর বাঙালিদের সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়। শীতকালে প্রচুর কাশ্মীরি বাংলায় আসেন।” তিনি আরোও জানান, কাশ্মীরে পর্যটক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকজন প্রধানও বাংলায় এসেছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেছেন। নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে।