Mamata Banerjee: সোনিয়াকে উপেক্ষা করার কারণ সম্পর্কে বিস্ফোরক মমতা

Mamata Banerjee meeting with Sonia Gandhi নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: রাজধানীকে এলেই প্রতিবারই আমায় সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করতে হবে কেন? সংবিধানে কি এমন…

Mamata Banerjee meeting Sonia Gandh

Mamata Banerjee meeting with Sonia Gandhi
নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: রাজধানীকে এলেই প্রতিবারই আমায় সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করতে হবে কেন? সংবিধানে কি এমন কোন নিয়ম আছে যে, দিল্লি আসলেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে হবে? সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে চাঞ্চল্যকর এই প্রশ্নটিই ছুড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) বন্দ্যোপাধ্যায়।

চার দিনের সফরে সোমবার দিল্লি (Delhi) এসে পৌঁছেছেন মমতা। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ (Aravind Kejriwal) বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

   

অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, মমতা দিল্লি আসলে অবশ্যই সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটলো। চার দিনের এই সফরে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা উচ্চারণও করলেন না নেত্রী। তাই সংবাদমাধ্যম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চায়, আপনি কি এবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন না? তার উত্তরে মমতা স্পষ্ট বলেন, ওনারা এখন পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে খুব ব্যস্ত। তাই কিভাবে দেখা হবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা রাগত স্বরে বলেন, আমি দিল্লি এলে প্রতিবারই কেন সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করবো বলুন তো? এটা কি কোনও সাংবিধানিক নিয়ম নাকি?

মমতার এই কথার যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যদুস্ত করার পরেই নিজের রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে তৃণমূল ক্রমশ জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে জায়গা করে নিচ্ছে। নিজের জায়গা করতে গিয়ে তৃণমূল মূলত কংগ্রেসেই ভাঙন ধরাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই উত্থান ও দল ভঙানোর নীতিতে বেজায় খাপ্পা কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে মমতার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি মমতা এবং তাঁর দলের কাজে বিরোধীজোটের ঐক্য নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

মমতা এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে তাঁর দল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির পাশেই থাকবে। অখিলেশ চাইলে তিনি উত্তরপ্রদেশে প্রচার করতেও যাবেন। কারণ তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হল বিজেপিকে ক্ষমতায় থেকে হঠানো। একই সঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বর তিনি মুম্বই যাচ্ছেন। দেখা করবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীদের অনৈক্যের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনা জোট সরকার গঠন করেছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের শরিকদের নিজের কাছে টানতে মমতা উদ্যোগী হয়েছেন, এমন কথাও উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহল এই প্রশ্নও তুলেছে যে, কংগ্রেসকে বাদ রেখে কি কোন বিরোধী জোট করা সম্ভব? কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট করতে গেলে সব আঞ্চলিক দলকে মমতা কি নিজের পাশে পাবেন?

আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, কংগ্রেস যদি বিরোধী জোটে থাকে সেই জোটে কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদবের মতো নেতা কি সামিল হবেন!