Deoghar: ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়ে দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ শেষ, মৃত চার পর্যটক

শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ দেওঘর (Deoghar) ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে থাকা সব পর্যটককে উদ্ধার করা হলো। রবিবার এই দুর্ঘটনা ঘটলেও কেবলকারে আটকে থাকা…

ropeway accident at Trikut hill

শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ দেওঘর (Deoghar) ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে থাকা সব পর্যটককে উদ্ধার করা হলো। রবিবার এই দুর্ঘটনা ঘটলেও কেবলকারে আটকে থাকা সকলকে উদ্ধার করতে গড়িয়ে যায় মঙ্গলবার দুপুর।

মঙ্গলবার পর্যন্ত কেবলকারে আটকে থাকা কয়েকজন জন পর্যটক খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ড্রোনের মাধ্যমে কেবলকারে আটকে থাকা পর্যটকদের খাবার ও পানীয় জল পাঠানো হয়। সোমবার পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার বায়ুসেনার উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে আরও এক মহিলা কপ্টার থেকে পড়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ জন।

এই দুর্ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

রবিবার বিকেলে কেবলকারে চেপে দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড় দর্শনে গিয়েছিলেন বহু পর্যটক। সেসময় আচমকাই দুটি কেবলকারের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় রবিবারই দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়। সোমবার উদ্ধার করে আনার সময় বায়ুসেনার কপ্টার থেকে ছিটকে পড়ে এক পর্যটক প্রাণ হারান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে বায়ুসেনা যখন উদ্ধারকাজ শেষ করে আটকে থাকা সকলকে নিয়ে ফিরছে সে সময় হেলিকপ্টার থেকে পড়ে গেলে এক মহিলার মৃত্যু হয়। মৃতার নাম শোভা দেবী।

ত্রিকূট পাহাড়ে দুর্ঘটনায় পড়া ওই কেবলকারে সোমবার ৪৮ জন আটকে ছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪০ জনকে উদ্ধার করা হলেও বাকিরা আটকে থাকেন। মঙ্গলবার ভোর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আটকে থাকে পর্যটকদের উদ্ধারে নামানো হয় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

একটানা ৪০ ঘণ্টার বেশি আটকে থাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিপজ্জনক জায়গায় সূর্যাস্তের পর উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখতে হয়। দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজনত্রি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের উদ্ধার কাজ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দুপুর ১ টা নাগাদ শেষ হয় উদ্ধারকাজ। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাজ্যপাল।