শুক্রবার ক্যাশ ফর কোয়ারি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) পদ খারিজ হয়ে যায়। এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে। মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ঘিরে যাবতীয় বিতর্ক। বহিষ্কৃত সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছে তার নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্ডিয়ার (INDIA Alliance) বাকি সদস্যরাও। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশনালিস্ট পার্টি সহ একাধিক দল। বরখাস্ত হওয়ার পর মহুয়া মৈত্র নিজের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি বদলে ফেলেন। শুধু ডিপী নয়, ইন্ডি জোটের ঠাই হল মহুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসেও।
সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর নিজের হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে মহুয়া দিলেন ঐক্যের বার্তা। হোয়াটঅ্যাপ ডিপিতে দিলেন সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মহুয়ার সঙ্গে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা ফারুক আবদুল্লা। এছাড়া দক্ষিণী বিভিন্ন দলের নেতারাও রয়েছেন মহুয়ার ডিপিতে। মনে করা হচ্ছে এই ছবি দিয়ে ইন্ডি জোটের ঐক্যের বার্তা দিলেন মহুয়া। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, ২৮টি বিরোধী দল একজোট হয়ে ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি করেছিল।
শুক্রবার এথিক্স কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, মহুয়া মৈত্র অবৈধ ভাবে টাকা নিয়েছেন তা সত্য। সাংসদ হিসাবে তাঁর আচরণ অনৈতিক। সেই কারণে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত তিনি যে অপরাধ করেছেন সরকারের তরফে তার আইনি তদন্তও করা দরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা এবং ব্যবসায়ী বন্ধু দর্শন হিরানন্দানিকে সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সংসদের এথিক্স কমিটির রিপোর্টে সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়। বরখাস্ত করা হয় সাংসদকে।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্টে দাবি করা হয় সাংসদ যা করেছেন তা হলো কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কমিটির সুপারিশ সাংসদ মহুয়া মৈত্রর লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হোক। দাবি পাল্টা দাবিতে গরম হয় দেশ। অবশেষে সংসদ থেকে গলা ধাক্কা খেলেন মহুয়া মৈত্র। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইতে থাকা ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি হলেন মহুয়া মৈত্রর বন্ধু। আর বন্ধু ব্যবসায়ীকে সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। আর মহুয়া মৈত্রর অভিযোগ মোদী সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।