Maharastra: পুড়ছে হাসপাতাল, চা খেতে ও আড্ডা দিতে ব্যস্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা

News Desk, Mumbai: দাউদাউ আগুনে পুড়ছে হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ড। যে ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন শুধুমাত্র করোনা রোগীরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৬ নভেম্বর…

ahmednagar hospital

News Desk, Mumbai: দাউদাউ আগুনে পুড়ছে হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ড। যে ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন শুধুমাত্র করোনা রোগীরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৬ নভেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ মহারাষ্ট্রের (Maharastra) আহমেদনগর (ahamednagar) জেলা হাসপাতালে এই আগুন লেগেছিল। কি কারণে আগুন লাগল বা মৃতের সংখ্যা এতটা বাড়ল কেন তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে ধরা পড়েছে, ঘটনার সময় আইসিইউতে যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ডিউটি করার কথা ছিল তারা কেউই সেখানে ছিলেন না। ঘটনার সময়ে তাঁরা দেকানে চা ও খাবার খাচ্ছিলেন। নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টা করছিলেন।

   

বৃহস্পতিবার আহমেদ নগরের পুলিশ সুপার মনোজ পাটিল (monoj patil) জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ওই হাসপাতালের আইসিইউয়ে চারজনের ডিউটি ছিল। কিন্তু চারজনের কেউই ওয়ার্ডে ছিলেন না। তাঁরা সকলে দলবেঁধে গিয়েছিলেন চায়ের দোকানে। সেখানে তাঁরা চা খাচ্ছিলেন এবং নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করছিলেন। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ থেকেই প্রাথমিক তদন্তে এই চিত্র ধরা পড়েছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে (rajesh tope) জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আহমেদনগর জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, ঘটনার সময় যদি চিকিৎসক বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এগিয়ে আসতেন তাহলে কখনওই এতজন রোগীর প্রাণ যেত না। এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অর্থাৎ কর্তব্যে অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে আহমেদনগর দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই ওই হাসপাতলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ফায়ার অডিট করা হয়েছিল। সে সময়ে হাসপাতালে আগুন নেভানোর জন্য সব ব্যবস্থাই মজুত ছিল। কিন্তু ঘটনার দিন সবকিছু থাকা সত্ত্বেও এতটাই দেরিতে হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মীরা এসেছিলেন যে তাঁদের পক্ষে আর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। কারণ আগুন চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

দমকলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রবল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা ওয়ার্ড ভরে গিয়েছিল কালো ধোঁয়ায়। ফলে রোগীরা শ্বাস নিতে পারছিলেন না। ওই পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত কঠিন। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণকারী একটি ইনভার্টার বা ভেন্টিলেটরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।