মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Election 2024) রাজনীতিতে এখন প্রবল অস্থিরতা। মহারাষ্ট্রে ভোটে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্ন বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। একনাথ শিন্ডে (Eknath Shindey) যিনি বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং শিন্ডেসেনার নেতা, হঠাৎ করে শুক্রবার মুম্বই (Mumbai) থেকে সাতারার গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। তার আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক হয়। অথচ এই বৈঠকের ফলাফল কী, বা মহাজোটের ভবিষ্যৎ কীভাবে গঠিত হবে, তা নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা।
দিল্লির ভোটে বাঙালি প্রার্থীর দাবি বিজেপি সাংসদের
মহারাষ্ট্রে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত পওয়ার) ‘মহাজুটি’র জয়ের পর থেকেই ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। তিনটি দলের মধ্যেই মন্ত্রিত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলোর দায়িত্ব নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বিশেষত শিন্ডে ও অজিত পওয়ারের মধ্যে বিরোধ প্রকট হয়ে উঠেছে বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন।
শুক্রবার মুম্বইয়ে মহাজোটের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একনাথ শিন্ডের হঠাৎ অনুপস্থিতির কারণে বৈঠকটি বাতিল হয়। শিন্ডের দল শিন্ডেসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় শিরসত এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, “অপেক্ষা করুন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় কিছু ঘটতে চলেছে।” এই মন্তব্যের পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।
শিন্ডে কেন এমন আচমকা সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে নানা ধরণের জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। আবার কেউ বলছেন, অজিত পওয়ারের এনসিপির সঙ্গে মতানৈক্যের কারণেই শিন্ডে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে শিন্ডে নিজে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর গ্রামের বাড়িতে যাওয়াকে কেউ কেউ মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় বলে ব্যাখ্যা করছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তিনি দলের অভ্যন্তরীণ সংকট নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে চান।
নাম ভাড়িয়ে সেলিম থেকে রবি শর্মা, কলকাতায় গ্রেফতার বাংলাদেশি
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ক্ষমতার লড়াই নতুন নয়। তবে এবার পরিস্থিতি আরও জটিল। বিজেপি মহাজোটে প্রধান শক্তি হলেও, শিন্ডেসেনা ও এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা প্রকট। বিশেষত শিন্ডে ও পওয়ারের মধ্যে মতপার্থক্য, যা ‘মহাজুটি’র ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ভারতীয় ও বিদেশি ছাত্রদের সতর্কতা: ট্রাম্পের শপথের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার নির্দেশ
অন্যদিকে, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। শিন্ডের গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার পরই বিজেপির শীর্ষ নেতারা দিল্লিতে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে বিরোধী দল শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) এবং কংগ্রেস-কেও কৌশলগতভাবে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে দেখা যাচ্ছে।শিন্ডের মুখপাত্রের মন্তব্য এবং তাঁর আচরণ মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। আগামী দিনে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য কীভাবে গড়ে উঠবে, তা এখন সকলের নজরে।